187406

সুস্থ শরীর পেতে দাওয়াই দারচিনি

ওজন বাড়ছে? কোলেস্টেরল বাড়ছে? হার্টের রোগের দিকে এগোচ্ছেন? ঘরোয়া টোটকা দারচিনি। ইনসুলিন, কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকবে। সকালে মধু দিয়ে দারচিনি বা দারচিনি চায়ের জবাব নেই।

স্বাভাবিক পরিবেশে এই গাছের উচ্চতা ১০ থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। আদি নিবাস শ্রীলঙ্কায়। ইন্দোনেশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, চিনেও প্রচুর উত্পাদন। গাছের চামড়া মশলা হিসাবে বৃবহৃত। এর ছালে থাকে সিনামাল ডিহাইড। অপূর্ব গন্ধের জন্য দায়ী। পাতায় থাকে ইউজিনল। দারচিনিতে থাকে সামান্য প্রোটিন। কিন্তু এতে রয়েছে প্রচুর মিনারেল ও ভিটামিন।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ
টাইপ-টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারচিনি খুব উপকারি। কারণ, এটি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ
দেহের রক্ত তরল থাকতে সাহায্য করে দারচিনি। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ প্রায় ১০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে দারচিনি। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

বাতের ব্যথা কমায়
দারচিনিতে রয়েছে প্রচুর ম্যাঙ্গানিজ। মজবুত হাড়, রক্ত ও দেহের অন্যান্য টিস্যু গঠনে সাহায্য করে। বাতের ব্যথায় দারচিনির তেল বা চা উপকারি। ব্যথা কমাতে দারচিনি ও মধু দারুণ কাজ করে। হাড়ের জোড়ায় ব্যথা হলে হালকা গরম জলে ১ চামচ মধু ও দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় আস্তে আস্তে মালিশ করলে ব্যথা কমবে।

ক্ষত সারায়
পৃথিবীর সেরা ৭ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় রয়েছে দারচিনি। শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষত সারিয়ে তুলতে এই মশলা কার্যকর।

ক্যানসার প্রতিরোধক
গ্যাস্ট্রিক আলসার, মেলানোমা বা ত্বকের মেলানিন কোষ মিলে যে টিউমার হয়, তার সম্ভাবনা কমায় দারচিনি। লিউকোমিয়া ও লিমফোমা ক্যানসারের কোষগুলির প্রভাব কমায়।

খাদ্য-বিষক্রিয়া রোধ
খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে দারচিনি খেলে উপকার পাওয়া যায়। পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস দমন করে। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসাবে কাজ করে। দারচিনি ও মধু পেটে ব্যথা কমায়। অ্যাসিডিটি দূর করে। রাতে শোওয়ার আগে দারচিনির সঙ্গে হরীতকীর গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে পেট পরিষ্কার হয়।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.