187112

প্রেশার, থাইরয়েড, বাতের ব্যথা থেকে ধীরে ধীরে মুক্তির অভাবনীয় দিশা দেখাচ্ছেন বাঙালি বিজ্ঞানী

কানের মধ্য দিয়ে শব্দ ঢুকিয়ে মস্তিষ্কের মধ্যে ঘূর্ণন। মস্তিষ্কে শব্দের প্রভাব সারা শরীরে ছড়িয়ে দেওয়া। প্রেশার, থাইরয়েড, বাতের ব্যথার মতো কঠিন রোগ থেকে ধীরে ধীরে মুক্তি। অভাবনীয় দিশা দেখাচ্ছেন বাঙালি বিজ্ঞানী। অভিনব উদ্ভাবনে রোগমুক্তি।
রোগ একটা বিষয়। কিন্তু তার আধার মস্তিষ্ক। রোগী নয়, রোগই কালপ্রিট। সুগার, প্রেশার, থাইরয়েডের মতো হরমোনঘটিত রোগ মানুষের শরীরে থাবা বসাচ্ছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে।

সবই অবশ্য পিটুইটারি গ্রন্থির খেলা। মস্তিষ্কের প্রভাব। কারও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, কারও কম। তাই, রোগ সারাতে পৌছতে হবে রোগের উতসে। ধীরে ধীরে নির্মূল করতে হবে শিকড় থেকে। এমনটাই মনে করেন বাঙালি চিকিত্সা বিজ্ঞানী সজল ব্যানার্জি। সেই ভাবনা থেকেই এক অভিনব উদ্ভাবন।

শব্দ ও আলো সাধারণত সরলরেখায় চলে। এই ধারণার মূলে আঘাত করেছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। কানের মধ্য দিয়ে শব্দ প্রবেশ করিয়ে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ঘুরিয়ে মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব ফেলার এক অভিনব পদ্ধতির জন্ম দিয়েছেন তিনি। ২০১০ সালে পেটেন্ট দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

প্রথমে তবলার তাল। তারপর হালকা পিয়ানোর শব্দ। সারা শরীরে সঙ্কেত পাঠায় মস্তিষ্ক। সব কাজের কারণ এই মস্তিষ্ক। জাইরো পদ্ধতিতে দেহের ছন্দ ফিরিয়ে আনার সঙ্কেত দেবে মস্তিষ্ক। ধীরে ধীরে সাড়া দেবে শরীর। জমে থাকা রোগ থেকে মুক্তি। থাইরয়েড হোক বা হাঁটুর ব্যথা, সময় নিয়ে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। এমনটাই দাবি বাঙালি বিজ্ঞানীর। শিশুর শরীরেও প্রভাব ফেলা সম্ভব। চিকিত্সা বিজ্ঞানের এক নতুন দিক খুলে দিয়েছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। তবে তিনি এটাকে মিউজিক থেরাপি বলতে নারাজ। শব্দের মায়াজালে সুস্থতা।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.