187042

কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত ? জেনে নিন কী কী করবেন

অনেকে বলেন জয়বাংলা, অনেকে আবার বলেন চোখ উঠেছে ৷ তবে ডাক্তারি ভাষায় এ রোগের নাম কনজাংটিভাইটিস৷ যার উপসর্গ চোখ লাল হয়ে যাওয়া ? বিভিন্ন কারণে চোখ লাল হতে পারে। জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে, এডিনো ভাইরাসজনিত কারণে, হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসজনিত কারণে, স্কেলেরার ইনফেকশনজনিত কারণে, ইউভিয়াল টিস্যু ইনফেকশনজনিত কারণে ইত্যাদি। তবে ভাইরাস কেরাটাইটিস বহারপেম সিমপেক্স ভাইরাসজনিত ইনফেকশনই মুলত ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। এ ধরনের ইনফেকশনে সাধারণত এক চোখ আক্রান্ত হয়ে থাকে।

কনজাংটিভাইটিস রোগ মারাত্মক না হলেও অস্বস্তিকর তো বটেই। চোখ কড়কড় করা, ফুলে ওঠা, অবিরাম জল পড়া, জবা ফুলের মতো লাল হয়ে যাওয়া, পিচুটি কাটা ইত্যাদি যথেষ্ট বিরক্তিকর নিশ্চিতভাবেই। সাধারণভাবে, প্রতি বছর এই সময়টা কনজাংটিভাইটিস প্রকোপ শুরু হয় ৷ চোখ জ্বলবে, চোখের ভেতর অস্বস্তি শুরু হয়, সামান্য ব্যথা হয়। রোদে বা আলোতে তাকাতে কষ্ট হয় ও অতিমাত্রায় জল পড়ে। চোখ লাল হয়ে ফুলে উঠে। ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাতা দুটি একত্রে লেগে থাকে। চোখ থেকে শ্লেষ্মাজাতীয় পদার্থ বের হতে থাকে ও হলুদ রঙের পুঁজ সৃষ্টি হয়। সাধারণত ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে উপসর্গগুলো কমে আসে। কিন্তু দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। মণি বা কর্নিয়াতে সাদা দাগ পড়ে যায়। খালি চোখে দেখে বোঝা যায় না। এতগুলো উপসর্গ রোগীর ক্ষেত্রে একসঙ্গে দেখা নাও যেতে পারে।

ডাক্তারদের কথায় কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হলে, নোংরা হাত চোখে দেবেন না। ট্রেন, বাস, মেট্রোতে যাঁরা নিয়মিত সফর করেন, তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। গণ পরিবহণ থেকে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি। চোখ লাল হলে বা কড়কড় করলে বিলম্ব না করে সঙ্গে সঙ্গে যথোপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

যেসব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তা হলো-ধুলাবালি, আগুন-আলো-রোদে কম যাওয়া, ময়লা-আবর্জনাযুক্ত স্যাতসেঁতে জায়গায় না যাওয়া, পুকুর বা নদী-নালায় স্নান না করা, চোখে কালো চশমা ব্যবহার করা, টিভি না দেখা। সম্ভব হলে ১০ থেকে ১৫ দিন সম্পুর্ণ বিশ্রাম নেওয়া এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.