185627

ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্নান করুন গরম জলে

অফিসে ৮ ঘণ্টা কাজ করে সারা দিন শেষে বাড়ি ফেরার পর আর এক্সারসাইজ করার এনার্জি অবশিষ্ট থাকে না। রোজই ভাবেন কাল থেকে শুরু করব রুটিন। কিন্তু সেই কাল আর আসে না। বিশষেজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ক্যালোরি পোড়ানোর এক্সারসাইজই কিন্তু একমাত্র উপায় নয়। আপনার ফিটনেস গোল-এর অংশ হতে পারে হাইড্রোথেরাপি। ১ ঘণ্টা গরম জলে স্নান করে পুড়িয়ে ফেলতে পারেন ১৩০ ক্যালোরি।

২০১৬ সালে ব্রিটেনের লবর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডা. ফকনার ১৪ জন অতিরিক্ত ওজনের পুরুষকে নিয়ে একটি গবেষণা করেন। প্রথম ক্ষেত্রে তাদের ৬০ মিনিট সাইক্লিং করতে বলা হয়, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ওই একই সময় ধরে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার জলে স্নান করতে বলা হয়। এই দুই ক্ষেত্রেই শুধু বসে থাকতে যে পরিমাণ এনার্জি লাগে, তার থেকে বেশি এনার্জি ব্যয় হয়। দেখা গিয়েছে, গরম জলে স্নান করে বসে থাকার তুলনায় ৭৯% বেশি ক্যালোরি ঝরানো সম্ভব হয়। যদিও, ৬০ মিনিট বাইকিং বা সাইক্লিং-য়ে ৭৫০% বেশি ক্যালোরি ঝরানো সম্ভব। তাই মেদ ঝরানোর জন্য এক্সারসাইজই সেরা উপায় হলেও যারা ক্লান্তি, স্ট্রেস, পেশীর যন্ত্রণার কারণে এক্সারসাইজ করে উঠতে পারেন না, তারা বিকল্প হিসেবে বেছে নিতেই পারেন গরম জলে স্নান।
শরীরের মেটাবলিজম উন্নত করে ওজন কমাতে সাহায্য করাতেই আটকে নেই গরম জলে স্নানের উপকারিতা। আমাদের হার্ট, ত্বক ও পেশী সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে গরম জলে স্নান।

ব্লাড সুগার
ওই একই গবেষণাপত্রে ডা ফকনার উল্লেখ করেছিলেন, খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে এই তাপমাত্রার (১০৪ ফারেনহাইট) জলে স্নান করলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। এই প্রভাব সারা দিন বজায় না থাকলেও খাওয়ার আগে স্নান করে নিয়ে ওষুধ খাওয়া এড়াতে পারেন। তাই যারা টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে গরম জলে স্নান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

হার্ট
২০১৫ সালে সওনা বাথের প্রভাব নিয়ে ২৩১৫ জন মধ্যবয়সী পুরুষকে নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত সওনা বাথ নিয়ে অভ্যস্ত তাদের হঠাত্ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, ফ্যাটাল করোনারি হার্ট ডিজিজ, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম।

বয়স্কদের জন্য
২০০৮ সালে ৮১ জন বয়স্ক রোগীকে নিয়ে ডা. ফকনার একটি গবেষণা করেন। ফলাফলে দেখা যায়, মাত্র ৩০ মিনিট গরম জলে স্নান করেই তিন মাসের মধ্যে কমে যেতে পারে অস্টিওআর্থারাইটিস বা ক্রনিক ব্যাক পেনের মতো সমস্যা।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.