185420

মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে ৫টি টিপস

জামাল হোসেন: মুখের ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি লোক ভুগে থাকেন। পৃথিবীর মধ্যে বিশেষ করে ভারতে বেশি সংখ্যক পুরুষ মুখের ক্যান্সারে ভুগেন। ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে প্রায় ১১.২৮ শতাংশ মানুষ এই রোগে কষ্ট করছেন।

প্রাথমিকভাবে এই রোগ শনাক্ত করা গেলে তা সহজে চিকিৎসা করে প্রতিরোধ করা যায় অর্থাৎ এই রোগ প্রতিরোধযোগ্য এবং চিকিৎসাযোগ্য। অপ্রিয় হলেও সত্য যে ৮০ ভাগ মুখের ক্যান্সার হয়ে থাকে ধূমপানের কারণে। তাই চিকিৎসকরা এই রোগের ঝুঁকি কমাতে ৫ টি পদক্ষেপ নিতে বলেন।
(১) এই রোগ প্রতিরোধের প্রথম কথা হল ধূমপান বা তামাকের ব্যবহার বন্ধ করা। ভারত, সুদান এবং দক্ষিণ সুদানের ৫০ শতাংশের বেশি এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪ শতাংশ মানুষ ধূমপান এবং তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে মুখের ক্যান্সারে ভুগেন। আজকাল সিগারেটের প্যাকেটগুলো বেশ ভালোভাবে প্যাকেজিং এবং বিপণন করা হচ্ছে, যা যুবকদের ধূমপানে আগ্রহী করে তুলছে। তাই সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এর ব্যবহার কমাতে হবে।
(২) ধূমপান বা তামাকের মত এলকোহল বা মদও এই রোগ সৃষ্টির অন্যতম কারণ। এটি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আপনার শুধু মুখের ক্যান্সারই নয়, লিভার এবং হার্ট রোগের ঝুঁকি থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে। যদি আপনি মদে খুব আসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে, নারী হলে দিনে একবার এবং পুরুষ হলে দুই বার পান করুন। সবচেয়ে ভালো হয় মদ পান করা একদম ছেড়ে দেয়া।

(৩) সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি (ইউভি) বিকিরণ থেকে আপনার ত্বক রক্ষা করুন। সূর্যের অতিরিক্ত এবং অসুরক্ষিত এক্সপোজারের কারণে ঠোঁটের চারপাশে ক্যান্সার হতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে বিশেষ করে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বাইরে অপ্রয়োজনে ঘুরাঘুরি বন্ধ করতে হবে। এছাড়া বাজারে যে সকল ভালো মানের সূর্য সুরক্ষা ক্রিম আছে সেটা ব্যবহার করতে হবে।

(৪) প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং নিয়মিত প্রতিষেধক নেয়াকে গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। মুখের ভিতরটা ডাক্তার দিয়ে মাসে অন্তত একবার পরীক্ষা করাতে হবে। বিশেষ করে নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের মাধ্যমে মুখ পরীক্ষা করাতে হবে। মুখের ভিতরটা পরিচ্ছন্ন রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুখের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল না করা মুখের ক্যান্সারের আর একটি অন্যতম কারণ।

(৫) খাদ্যের নিয়ন্ত্রণ মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। ফল এবং সবুজ শাকসবজি কম খাওয়া এবং ভিটামিন এ-এর অভাবে মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই ফল এবং প্রচুর সবুজ শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.