185367

ঐতিহ্য ধরে রাখতে মরিয়া নটংকি’র শিল্পীরা

সজল সরকার: ভারতের সবচেয়ে পুরোনো যাত্রার দল ‘নটংকি’ দেশের ছোট ছোট শহর ও প্রত্যন্ত এলাকায় বেশ জনপ্রিয়। ১৯৮০ সালে টিভি বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছার আগ পর্যন্ত নটংকি শিল্পী দলই সারা ভারতে জনগণের মনোরঞ্জন করে এসেছে। তবে টিভি’র ব্যাপক ব্যবহারের পর এখন নটংকির সেই রমরমা ব্যবসা না থাকলে দলের সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে তাদের ঐতিহ্যগত শিল্পটিকে ধরে রাখতে। এখনও কয়েকটি দল বিভিন্ন জায়গা ও দেশে দেশে নৃত্য পরিবেশন করে মনোরঞ্জন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

সাধারণত মেলার মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় যাত্রা দলগুলো তাদের পরিবেশনা করে থাকে এবং তাদের পরিবেশনার মূল আকষর্ণই থাকে নারী নৃত্যশিল্পীদের নৃত্য। সম্প্রতি ভারতের বিহার রাজ্যের সোনেপুর শহরে নটংকি যাত্রা দল তাদের পরিবেশনা করেছে যেখানে টিকিটের মূল্য ছিল ১শ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত। টাকার অংক একটু বেশি থাকলেও টিকিট মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছিল কারণ প্রত্যন্ত এ শহরে তেমন কোন বিনোদনের ব্যবস্থা নেই।

নটংকি যাত্রা দলের পরিবেশনায় যে গল্প থাকে তা মূলত পৌরাণিক কাহিনীনির্ভর হয়ে থাকে। তবে পরিবেশনার মধ্যে নৃত্যশিল্পীদের নাচই সাধারণ দর্শকদের আকর্ষন করে বেশি। যেকোন নৃত্যশিল্পীর নাচ ভাল লাগলে তা দর্শকদের অনুরোধে আবারও পরিবেশনা করতে হয়। দর্শকদের মনোরঞ্জন করলেও অবশ্য নৃত্যশিল্পীদের জীবন আনন্দে ভরে থাকে না। সংগীতা নামের এক নৃত্যশিল্পী বলেন, ‘আমি দরিদ্রতার জন্য এখানে নাচা শুরু করি কিন্তু এখন নাচতে ভাল লাগে।’ মৌসুমি নামের আরেক শিল্পী বলেন, ‘আমি এখানে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে আছি। দুবাই, নাইরোবিতেও আমি নেচে এসেছি। তবে আমাদের আয় দিয়ে সংসার চলে না, সরকার আমাদের ভাতার ব্যবস্থা করলে ভাল হত।’

সূত্রঃ বিবিসি

পাঠকের মতামত

Comments are closed.