182816

রঙে ফিরছে মসুল

সজল সরকার: ইরাকের মুসল শহর দীর্ঘদিন জঙ্গি গ্রুপ আইএসের দখলে থাকাকালে সেখানকার স্বাভাবিক জীবন ছিল বিপন্ন। প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকা দেশটিতে জঙ্গি গ্রুপ আইএস তান্ডব লীলা চালিয়েছে। তবে ইরাকে অবস্থিত মিত্র প্রতিরক্ষা বাহিনী এ বছরের শুরুর দিকে আইএস-এর বিরুদ্ধে অভিযান চালায় এবং ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল থেকে আইএসকে বিতাড়িত করতে সমর্থ হয়। জানুয়ারি মাসেই মসুল শহরে আইএস বাহিনী দূর্বল হয়ে পড়ে এবং কিছুদিনের মধ্যে শহর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। এরপর থেকেই ধ্বংসাত্বক মসুল শহরের স্বাভাবিক জীবন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত শহরের অবকাঠামো ঠিকঠাক না হলেও মার্কেটগুলো কিছুটা জমতে শুরু করেছে।

বিবিসি’র এক রিপোর্টে দেখা যায় মসুল শহরের স্কুল, কলেজ ও দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। সাংবাদিক ঘাদি সেরি শহরের বিভিন্ন এলাকার ছবি তুলেছেন যেখানে দেখা যায় গত ৩ বছরে আইএস কী সহিংসতা চালিয়েছিল। বিবিসি’র জন্য গোপনে তৈরী করা এক তথ্যচিত্রে মসুলের স্বাভাবিক জীবনের রঙ ও ছন্দ ফেরার ছবি এসেছে। মার্কেটের দোকানগুলোতে পুতুলকে রঙিন পোষাক পড়িয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মেয়েদের লিপস্টিকের বিজ্ঞাপনে নারী মডেলের রঙিন ঠোঁটের ছবি শোভা পাচ্ছে দোকানগুলোতে।

তবে মসুল শহর ইরাকি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পশ্চিমাঞ্চলের কিছু এলাকা এখনও আইএস-এর দখলেই রয়েছে। মাহা নামের এক বাসিন্দা তার অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন আইএস-এর বর্বরতার কথা। মাহার বর্ণনায় বলা হয়, একদিন ৭ বছরের এক মেয়ে শিশু দোকানে এসেছিল মিষ্টি কিনতে। তখনই আইএস জঙ্গিরা তার বাসার খবর জানতে চায়। ছোট্ট মেয়েটি ভয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার মা-বাবা তাকে খুঁজতে এলে আইএস সদস্যরা তাদের ব্যাপক ধমক দেয় কেন তারা মেয়েকে একা বাহিরে যেতে দিয়েছে এবং পর পুরুষের সঙ্গে কথা বলতে দিয়েছে। মসুলের বাসিন্দা মাহা বলেন, এখানে নারী তো বটেই, ছোট্ট শিশুকেও তার শিশুবেলাটাকে উপভোগ করতে দেওয়া হয় না।
সূত্রঃ বিবিসি

পাঠকের মতামত

Comments are closed.