182693

সতর্ক থাকুন! কিডনির অসুখ কেড়ে নিতে পারে প্রাণ

কিডনির অসুখ মূলত দু’ধরনের হয়। ১. অ্যাকিউট কিডনি ডিজিজ ও ২. ক্রনিক কিডনি ডিজিজ

অ্যাকিউট কিডনি ডিজিজ: হঠাত্‍ করেই কিডনির উপর প্রভাব ফেলে৷ বিভিন্ন ইনফেকশন, ম্যালেরিয়া, সিভিয়ার ডায়ারিয়া, সাপের কামড় অথবা হঠাত্‍ দুর্ঘটনা ঘটলে তার প্রভাবে হয় অ্যাকিউট কিডনি ডিজিজ৷ তবে এই ধরনের কিডনির অসুখ ৩ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়৷

ক্রনিক কিডনি ডিজিজ: সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এই অসুখ৷ দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস ও হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ না করলে কিডনির সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়৷ এছাড়াও ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন, কিডনি স্টোন, পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ (কিডনিতে সিস্ট) ও গ্লুমেরুলোনেফ্রাইটিসের (নেফ্রনে প্রদাহ) সমস্যা দেখা যায়৷ প্রোস্টেটের সমস্যা, ইউরিনারি ট্র্যাক ব্লক থাকলেও কিডনির সমস্যা হয়৷

কারা বেশি আক্রান্ত হন: বয়স্ক হলে, পরিবারে কারও কিডনির সমস্যা থাকলে, দীর্ঘদিন হার্টের অসুখ, ওবেসিটি, ধূমপানের অভ্যাস থাকলে কিডনির রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়৷

শনাক্ত: ক্রনিক কিডনি ডিজিজে তেমন কোনও লক্ষণ থাকে না৷ ধীরে ধীরে রোগ বাড়তে থাকে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাডভান্স স্টেজে রোগী বুঝতে পারেন৷ পরবর্তীকালে যে যে লক্ষণ দেখা যায় তা হল –

হঠাত্‍ করে ওজন বৃ‌দ্ধি কিংবা ওজন কমে যাওয়া৷
একটুতেই দুর্বল হয়ে পড়া৷
প্রস্রাব করার সময় ব্যথা৷
প্রস্রাবের বেগ পাওয়ার সময় ব্যবধানের মধ্যে পরিবর্তন৷
শরীরে ফুলে যাওয়া৷
তলপেট ও কোমরের দিকে ব্যথা৷
খিদে কম৷
বমি ভাব৷
সারা শরীরে ব়্যাশ, চুলকানি৷

বদ অভ্যাস:
কথায় কথায় পেন কিলার (এনএসএআইডি গ্রুপের ওষুধ) ও কারণ ছাড়াই নিয়মিত গ্যাসের ওষুধ (পিপিআই গ্রুপের ওষুধ) খাওয়ার অভ্যাস কিডনিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে৷ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি৷

কিডনি ভাল রাখতে:

নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হবে ও সঠিক ডায়েট মেনে চলা জরুরি৷
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে৷
খাবারে নুন কম খান৷
উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে নিয়মিত চেক আপ জরুরি৷

পাঠকের মতামত

Comments are closed.