182554

মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে জনতার রায় জানতে চায় কেন্দ্র

দিল্লী: হজ যাত্রার জন্য কেন্দ্রের যে নীতি রয়েছে তাতে কী কী পরিবর্তন আনা আবশ্যক? গোটা দেশের কাছে জানতে চাইল কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক। আগামী ২৪ মে-র মধ্যেই এই ব্যাপারে পরামর্শ জানাতে হবে। মেল পাঠাতে হবে hprcmma@gov.in-এ। মূলত ২০১২ সালে হজ যাত্রা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে কেন্দ্রকে ভর্তুকি কমানো এবং ২০২২ সালের মধ্যে সেটি পুরোপুরি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের সেই রায়কে কার্যকর করতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। ওই রায়ে কেন্দ্রকে হজ যাত্রায় প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার বদলে সেটা মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষা ও উন্নয়নে খরচ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

[হজ না শিক্ষা কোথায় প্রয়োজন ভর্তুকি? জনতার থেকে জানতে চাইল কেন্দ্র]
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নতুন হজ নীতি নির্ধারণের জন্য ইতিমধ্যেই একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া যে কেউ নতুন হজ নীতি নিয়ে তাঁদের পরামর্শ দিতে পারে। নতুন এই কমিটি আগামী ২৫ মে সেই সব পরামর্শগুলি খতিয়ে দেখবে।’ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের প্রাক্তন কনসুলেট জেনারেল জেড্ডাহ আফজল আমানুল্লাহ-র নেতৃত্বে ওই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। হজ নীতিতে কী কী পরিবর্তন আনা সম্ভব এবং শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে কীভাবে কার্যকর করা হবে সেই সমস্ত কিছু নির্ধারণের জন্যই এই কমিটি গঠিত হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর মক্কায় হজ যাত্রায় অংশ নেন ১ কোটি ৭০ লক্ষ মুসলিম। যার মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার জন ভারতীয় হজ কমিটির সাহায্যে মক্কা যান। বাকি ৪৫ হাজার লোক বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে হজ যাত্রায় যান। এর আগে ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, প্রতি বছর হজ যাত্রার ভর্তুকির জন্য কেন্দ্র খরচ করে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা। তার বদলে ওই টাকা মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষা ও সামাজিক কল্যাণে ব্যবহার করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.