182158

জন্মদিন কেমন কাটালেন বিক্রম?

বুধবার ছিল তাঁর জন্মদিন। শুভদিনটা কার্যত ‘নিরানন্দে’ই কাটালেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। জন্মদিনে অভিনেতার মুখে উঠল না মায়ের হাতের তৈরি পায়েসও। খবর এমনটাই।

দিনের বেশিরভাগ সময়টা বাড়িতেই পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছেন অভিনেতা। বিকেলের দিকে শহরতলির এক স্টুডিওয় ‘ইচ্ছেনদী’ ধারাবাহিকের শ্যুটিংয়ে যোগ দেন তিনি, জানালেন বিক্রমের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। প্রসঙ্গত, এই মাসের ২৮ তারিখ শেষ হতে চলেছে ‘স্টার জলসা’র জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ইচ্ছেনদী’। জানা যাচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিক্রমের অংশের দৃশ্যগুলোর শ্যুটিং সেরে ফেলতে চাইছে প্রোডাকশন হাউস। তবে কেন এমন তাড়াহুড়ো, এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।

প্রতি বছরই জন্মদিনটা পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গেই কাটান বিক্রম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি যে রকম, তাতে বিক্রম এবং তাঁর পরিবারের কারও আলাদাভাবে জন্মদিন পালন করার উৎসাহ ছিল না। ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ফোনে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিনেতাকে। মঙ্গলবার রাত ১২টার পর বিক্রমকে ফোন করেছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতি বছরই রাত ১২টার পর ফোন করে বিক্রমকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইচ্ছে ছিল, বুধবার সন্ধের দিকে বিক্রমের বাড়ি গিয়ে ওর সঙ্গে দেখা করে আসব। কিন্তু ও বলল, সন্ধের সময়টায় শ্যুটিংয়ে থাকবে। যাই হোক, পরে কোনও একদিন বাড়ি গিয়ে বিক্রমের সঙ্গে দেখা করে আসব।’’ এই মুহূর্তে কেমন আছেন বিক্রম? ঐন্দ্রিলা বলছিলেন, ‘‘সেই ‘সাত পাকে বাঁধা’র সময় থেকে ও আমার বন্ধু। ওকে এতটা ভেঙে পড়তে কখনও দেখিনি। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পর বিক্রম ক্লান্ত গলায় আমাকে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ বলল শুধু!’’

বিক্রমের বাবা বিজয় চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘জন্মদিন বলে আলাদা করে কোনও আয়োজন করা হয়নি। আগে বিক্রম সুস্থ হয়ে উঠুক, তারপর ওসব করা যাবে!’’ প্রসঙ্গত, বুধবার ‘ইচ্ছেনদী’র সেট’এও বিক্রমের জন্মদিন পালন করা হয়নি। ধারাবাহিকে বিক্রমের সহ-অভিনেতা শোলাঙ্কি রায় বলছিলেন, ‘‘২৯ এপ্রিল ভোরের সেই ঘটনার পর ইউনিটের কারও মন ভাল নেই। তাই বিক্রমের জন্মদিন বলে কেক কাটা বা অন্য কোনও আয়োজন করার ব্যাপারেও কারও উৎসাহ নেই। সেট’এ কোথাও যেন একটা বিষাদের সুর!’’

সুত্র: ‘এবেলা’

পাঠকের মতামত

Comments are closed.