181949

আপনার রোজকার অভ্যাসই হতে পারে পাকস্থলীতে ক্যানসারের কারণ

৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি৷ মাঝে মধ্যেই পেট ব্যথা৷ পাড়ার ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার দেখেন তাঁর ওজন ক্রমশ কমছে৷ পেট ব্যথার সঙ্গে ওজন কমে যাওয়ায় লক্ষণ ভাল নয়৷ এরপরই একদিন মলের সঙ্গে রক্ত পড়ল৷ এন্ডোস্কোপি করা হলে রিপোর্টে দেখা গেল পাকস্থলিতে ক্যানসার হয়েছে৷ উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে ভারতে পাকস্থলীতে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি৷ এর জন্য দায়ী অভ্যাস!

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি-ব্যাকটেরিয়াই এই ক্যানসারের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী৷ এই ব্যাকটেরিয়া থেকে ইনফেকশন অনেকসময় ক্যানসারের কারণ৷ এটি খুবই শক্তিশালী কারসিনোজেন৷ সাধারণত এই ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন কম-বেশি সবার শরীরেই হয়ে থাকে৷ তবে ইনফেকশন মানেই তা থেকে ক্যানসার হবে এমন নয়৷ ইনফেকশন দীর্ঘদিন থাকলে পাকস্থলীর কোষে এমন কিছু পরিবর্তন আনে যা ক্যানসার হতে সাহায্য করে৷

ধূমপান পাকস্থলীর উপরের অংশের ক্যানসারের সম্ভাবনা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়৷ কারও গ্যাস্ট্রিক সার্জারি হলে অথবা আলসার ওষুধে না সারলে সার্জারি করা হয়৷ পাকস্থলীর এই আলসার সার্জারির দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা হিসাবে অনেক সময় ক্যানসার দেখা যায়৷ পাকস্থলীর মধ্যে পলিপ জাতীয় কিছু থাকলে তা থেকেও ক্যানসারের সম্ভাবনা থাকে৷ এমনকী দীর্ঘদিন ধরে নস্যির নেশা থাকলেও এই ক্যানসার শরীরে থাবা বসাতে পারে৷

তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে আবার দেখা যায়, জল থেকে হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি-ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয়৷ মল থেকে মুখের মধ্যে এই ব্যাকটেরিয়া পৌঁছলে শরীরে সংক্রমণ ছড়ায়৷ যাঁরা খুব অপরিষ্কার ভাবে থাকেন, নোংরা থালায় খান তাঁদের এই ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের প্রবণতা বেশি৷

পাঠকের মতামত

Comments are closed.