181516

বনানীর ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হলো সাফাত ও সাদমান

রাজধানীর বনানীতে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় সাফাত ও সাদমানকে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া নয়টায় তাদেরকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদেরকে এখন ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক সহেলী ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে। পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে না চাইলেও পরে ৬ মে মামলা গ্রহণ করে। পরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সারা দেশ। ধর্ষকদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতি ও কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে। অন্য আসামিরা হলেন তার দুই বন্ধু নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফ এবং গাড়িচালক ও দেহরক্ষী। মামলার পর বনানী থানার পরিদর্শক মতিন এর তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে আদালতে আবেদন করলেও পরে তদন্তকারী বদলানো হয়। এখন তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশের উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

ঘটনার ৩৭ দিন পর মামলা হওয়ায় অনেক সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকার পরও আলামত ও সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করছে পুলিশ। আসামিরা প্রভাবশালী বলে পুলিশ তাদের ছাড় দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত দু্ই তরুণের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়িচালকও ছিল। তাদের একজন ঘটনাটি ভিডিও করে রাখে। এ বিষয়ে গত শনিবার তারা বনানী থানায় মামলা করেন। মামলা করতে দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে তারা বলেন, তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে ঘটনা প্রকাশ করলে তাদের মেরে ফেলা হবে। প্রধান আসামিসহ অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে গণঅবস্থান কর্মসূচি থেকে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.