180440

ভুড়ি কমালে কমবে ঘাড়-কোমরের ব্যথাও

গাজী খায়রুল আলম: অতিরিক্ত ভুড়ি ও শরীরের ওজন দেহের কিছু পরিবর্তন আনে। ভুড়ির ভারে দেহের কোমর ভেতরের দিকে এবং বুক পেছনের দিকে যাইতে তাকে। এতে ঘাড়েও অতিরিক্ত চাপ পড়ে। যখন ঘাড়ের ও কোমরের পেছনের মাংসপেশীতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে তখন মাংসপেশীগুলো দিনদিন ক্লান্ত হয়ে পড়ে যার ফলে ঘাড়েও ব্যথা শুরু হয়। এমতাবস্থায় চলতে থাকলে একসময় মেরুদণ্ডের দুই পাশে যে সরু চিকন রাস্তা থাকে স্পাইনাল ক্যানেল মোটা দিন দিন চিকন হয়। ফলে স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে ফলে ব্যথা হাতে চলে যায়। একসময় হাত দুর্বল হয়ে পড়ে এক বলা হয় মায়োলোপোথন। আপনারা হয়তো মনে করতে পারেন, সামান্য ভুড়ি বা স্বাস্থ্য বেশি হওয়ার জন্য এতো সমস্যা হতে পারে? এ ছাড়াও আপনি কোমর হাঁটু বিভিন্ন জয়েন্টের ব্যথায় ভুগতে পারেন, সমস্যা হতে পারে হৃৎপিণ্ড ও কিডনিতে। ফুসফুসের সমস্যার জন্য হতে পারে অ্যাজমা জাতীয় সমস্যা। শুধু জানলেই হবে না। সে অনুযায়ী পরিশ্রমও করতে হবে। বিশ বছরের পর মানুষের আর সাধারণ বৃদ্ধি হয় না ফলে খাবারের সারবস্ত অধিকাংশই জমা হয় পেটে। ফলে দেহের ওজন বেড়ে যায়। প্রতিদিন সকালে নিয়মিত অন্তত ২৫-৩০ মিনিট হাঁটুন, শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট কম খান, তরল খাবার বেশি খেলেও অসুবিধা নেই। চর্বি জাতীয় খাবার কম খাবেন। তবে খাবার একবারে কমাবেন না। এতে আপনি দুর্বল হয়ে যেতে পারেন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.