180363

বাসিল অয়েলের ১২ গুণ

নূসরাত জাহান: অ্যালার্জি, অ্যাজমা, ডায়বেটিস, ত্বকের সমস্যা, মোশন সিকনেসসহ নানা রোগ প্রতিরোধ করে বাসিল অয়েল। এ তেল ভিটামিন-এ, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ও ক্যালসিয়ামের খুব ভালো উৎস। এ তেল আয়ুর্বেদিক ওষুধ।আসুন জেনে নেই এ তেলের ১২ উপকার।

১. ত্বকের জন্য বাসিল অয়েল খুবই উপকারী। এটা নিয়মিত শরীর ও মাথার ত্বকের ম্যাসাজ করলে ত্বক ভালো থাকে। এটা ত্বের অনেক সমস্যা কমে যায় এবং ত্বক কোমল করে। এছাড়া ত্বকের সংক্রমণও দূর করে।
২. খাবার হজমে সহায়ক এ তেল। এটা ওসিডির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এটা বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ব্যথা ও পেট ফাঁপা সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক। এসিডিটির ও পেটের ব্যথা কমাতে এটা খুব দ্রুত কাজ করে।
৩. বাসিল অয়েল ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা, ইনেফ্লুয়েঞ্জা ও জ্বর দূর করতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিক উপাদান থাকায় এটা কাশি সারাতেও ভালো কার্যকরী।
৪. অ্যাজমা, ব্রনকাইটিস ও সাইনাসের সংক্রমণ থেকে এই তেল খুব দ্রুত কাজ করে।
৫. অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে বাসিল অয়েল খুবই উপকারী। এটা ত্বক কাটা, পোড়া, সংক্রমণ ও মূত্রাশয়ে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এছাড়া এটা শরীরে ভাইরাস সংক্রমণও প্রতিরোধ করে।
৬. প্রাকৃতিক এ তেলটি চাপ প্রশমন করে। এ তেল ব্যরহার করলে টেনশন, মানসিক চাপ, হতাশা, মাইগ্রেনসহ নানা সমস্যা দূর করে। নিয়মিত এ তেলের ব্যবহার মানসিক চাপ কমিয়ে মন প্রফুল্ল রাখে।
৭. বাসিল অয়েল শরীরে রক্তের চলাচল ঠিক রাখে। এটা পরিপাক ক্রিয়া ঠিক রেখে শরীর সচল রাখে।
৮. অ্যালার্জি জনিত চুলকানি ও শরীরের প্রদাহ কমায় বাসিল অয়েল। এজন্য এ তেল বাত, ক্ষত, পোড়া, অপারেশন জনিত ব্যথা, মচকানো ও মাথা ব্যথা দ্রুত উপশম করে।
৯. বাসিল অয়েল চোখের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে দ্রুত কাজ করে। এটা চোখে জমে থাকা রক্ত দুত ঠিক করে দেয়।
১০. বমি বমি ভাব প্রতিরোধ করে বাসিল অয়েল। বিশেষ করে মোশন অসুস্থতাসহ সময়।
১১. পোকার কামড়ের পর চুলকাতে থাকে। এক্ষেত্রে বাসিল অয়েল খুবই কার্যকরী। বিশেষ করে মৌমাছি, বিষাক্ত পোকা ও সাপের কামড়ের জায়গায় এ তেল লাগালে এটা কাজে দেয়।
১২. প্রাকৃতিক গুণসমৃদ্ধ এ তেলের অনেক উপকারিতা আছে। তবে গর্ভবতী নারী, সন্তানকে দুধ খাওয়ানোর সময় সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়।
সূত্র: অর্গানিকফ্যাক্ট।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.