179734

আপনার হোয়াটসঅ্যাপাইটিস হয়নি তো?

কব্জিতে ব্যথা। মাঝে মাঝেই অসহ্য যন্ত্রণা। আপনি হোয়াটসঅ্যাপাইটিসে আক্রান্ত হননি তো? অত্যধিক হোয়াটস অ্যাপ আর টেক্সট মেসেজ থেকে এই রোগ। অকেজো হয়ে যেতে পারে আপনার বুড়ো আঙুল। সব স্বাদ-আহ্লাদ মাটি।

স্পেনের একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা ১৩০ গ্রামের মোবাইলে দিনে প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে মেসেজিং বা হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জার করেন, তাঁদের কব্জিতে অনবরত ব্যথা হতে থাকে। এটাকেই বলে হোয়াটসঅ্যাপাইটিস। ধীরে ধীরে তা কারপাল টানেল সিনড্রোমে পরিণত হয়। সাধারণত কব্জিসন্ধিতে ব্যথা বা অস্বস্তি। বেশি সময় কাজ করতে না পারা। হাতের পেশিতে ব্যথা ছড়িয়ে যাওয়া। হাত অসাড় মনে হওয়া। রাতে ব্যথা বাড়া। হাত শক্ত হয়ে যাওয়া। হাতে শক্তি না পাওয়া। নার্ভ আক্রান্ত হওয়ার ফলে হাতের আঙুল, কব্জিতে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জার করার জন্য ক্রমাগত আঙুল নাড়ানো বন্ধ না করলে অকেজো হয়ে যেতে পারে হাতের বুড়ো আঙুল।

যাঁর যে হাতটি বেশি চলে, সেই হাতের কড়ে আঙুলের রং গোলাপি হয়ে যাচ্ছে? অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, স্মার্টফোনের ওজনের ওপর নির্ভর করে হাতের আঙুলের অবস্থান। কড়ে আঙুলের গোড়ার দিক এবং অন্যান্য আঙুলের ডগার দিকের অংশ দিয়ে স্মার্টফোন ধরতে হয়। দিনদিন স্মার্টফোনের আকার বাড়ছে। ফলে বুড়ো আঙুলকে অনেক বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হচ্ছে মেসেজ করার সময়। ফলে, বুড়ো আঙুল ও কড়ে আঙুলের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে। ব্যথা বাড়বে। ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে যাবে হাত। মারাত্মক বিপদবার্তা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.