179428

এই গরমে আপনার বাচ্ছাকে রাখুন সুস্হ।

অত্যাধিক তাপমাত্রায় কাহিল ছোট থেকে বড় সকলেই। কিন্তু সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ে শিশুরা ৷ পড়াশোনার চাপ, স্কুল, খেলাধুলো সবকিছু বজায় রাখতে শিশুরা গরমে নাজেহাল হয়ে পড়ে। তাই তাদের দিকে যত্নবান হওয়া উচিত।

রইল কয়েকটি টিপস

১. শিশুকে সবসময় সঙ্গে জলের বোতল দিন ৷ গরমে সকলেরই সারাদিন প্রচুর জল খাওয়া উচিত্‍। বাচ্চারা খেলাধুলো করার কারণে ঘাম বেশি হয় ৷ ফলে ওদের জলের প্রয়োজনও হয় বেশি। জল বেশি খেলে শরীরে টক্সিনের মাত্রা কমে শরীর যেমন সুস্থ থাকে, তেমনই রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক থাকে। আবার পরিশোধিত জল না খেলে এর থেকেই রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই বাচ্চাদের যখনই বাড়ির বাইরে পাঠাবেন সবসময় সঙ্গে জলের বোতল দিন।

২. বাচ্চাদের টাটকা ফলের রস, ডাবের জল, বাটারমিল্ক বা লেবুর রস রিফ্রেশমেন্ট হিসেবে খেতে দিন। এতে শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় থেকে শিশুদের ক্লান্তি দূর হবে।

৩. গরমে বাচ্চাকে সবসময় হালকা রঙের জামাকাপড় পরানোর চেষ্টা করুন। হালকা রং গরম তাড়াতাড়ি শুষে নিয়ে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

৪. বাচ্চাদের ত্বক নরম ও সংবেদনশীল হওয়ায় গরম কালে র‌্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাইরে খেলতে পাঠানোর সময় চেষ্টা করুন ভাল সানস্ক্রিন লাগিয়ে রোদে পাঠাতে। ভাল এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন শিশুদের ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির থেকে রক্ষা করবে।

৫. পিৎজা, পাস্তা, রোল, বার্গারের মতো ফাস্টফুড থেকে শিশুদের দূরে রাখুন। তার বদলে তরমুজ, শশা জাতীয় ফল, বাড়িতে তৈরি হালকা খাবার খেতে দিন শিশুকে।

৬. গরম কালে পোকামাকড়ের কামড়, লালা থেকে অনেক সময় ইনফেকশন হয়। ঘামে বাড়তে পারে সেই ইনফেকশন। তাই বাচ্চাকে বাইরে পাঠানোর সময় বিশেষ করে সন্ধেবেলা ইনসেক্ট রিপেল্যান্ট ক্রিম লাগিয়ে পাঠান।

৭. রাতে সবসময় মশারি টাঙিয়ে শোওয়ান। গরমে মশারি টাঙাতে না ইচ্ছা না করলে অবশ্যই মসকিউটো রিপেল্যান্ট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. দুপুরে বাচ্চাকে বাড়ির বাইরে বের করবেন না ৷ দুপুর বেলা মূলত ১২-৪টের মধ্যে শিশুকে বাড়িতে রাখার চেষ্টা করুন। বিকেল বেলা খেলতে পার্কে নিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু দুপুরের রোদে বাচ্চাকে বাইরে না বের করাই ভাল।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.