179511

অবশেষে লাখো মায়ের মৃত্যুর পর স্বীকৃতি পেল জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন টিএক্সএ

দাম একশ টাকাও না অথচ লাখো প্রাণ বাঁচাবে জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন টিএক্সএ। বাচ্চা প্রসবের পর মাত্রাতিরিক্ত ক্ষরণের কারণে মায়েদের মৃত্যু হয় বেশি। এছাড়া দুর্ঘটনায় আক্রান্ত বা যুদ্ধে আহত হয়েও অধিক রক্তক্ষরণ হয়ে অনেকে মারা যায়। এসকল মৃত্যু ঠেকাতেই এবার বাজারে আসছে টিএক্সএ। রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ার ৩ ঘণ্টার মধ্যে এই ইঞ্জেকশন দিলে রোগীর প্রাণ বেঁচে যাবে রোগীর। সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস, ফিলি ডট কম

 

 

 
প্রতিবছর লাখো মায়ের মৃত্যু হয় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে যার বেশিরভাগই হয় আফ্রিকাসহ এশিয়ার দরিদ্র দেশগুলোতে। তাই ৬ বছরে আফ্রিকা-এশিয়ার ২১টি দেশের ২০ হাজার মায়েদের মাঝে গবেষণা চালিয়ে চমকপ্রদ ফলাফল পেয়েছেন ডাক্তাররা। গবেষক ডা. রবার্ট জানিয়েছেন, ব্রিটিশ সরকারের অর্থায়ণে এ ইঞ্জেকশন প্রায় ৪০টি দেশের ২০ হাজার আহত রোগী যারা দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের শিকার হয়েচেন তাদেরকে দেয়া হয়। ২০১০ সালে এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যুর হার প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে।

 

 
পরিতাপের বিষয় আবিস্কারের প্রায় ৫০ বছর স্বীকৃতি পেল টিএক্সএ। জাপানী গবেষক দম্পতি শুসুকে এবং উকাটো ওকামোতো অর্ধ শতাব্দী আগে এই ট্রানেক্সমিক এসিড আবিস্কার (এই এসিড দিয়েই তৈরি হয় টিএক্সএ) করলেও তখন তা রোগীদের ওপর প্রয়োগের অনুমতি দেয়া হয়নি। তাই তারা জাপানী ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানির দ্বারস্থ হন। কোম্পানিটি ছোটোখাটো অপারেশনে ট্রানেক্সমিক এসিড প্রয়োগ করে। পরে ব্রিটিশ সরকার ট্রানেক্সমিক এসিডের কার্যকারিতা প্রমাণে গবেষণা চালিয়ে কার্যকর ফলাফল পায়।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.