179062

হার্ট অ্যাটাকের ১ মাস আগেই জানন দেয় আমি আসছি

অকস্মাৎ অ্যাটাক আর তাতেই শেষ জীবন৷ এ ঘটনা ঘটছে আকছারই৷ খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে নানা কু-অভ্যাসের ফলেই নেমে আসে এই যবনিকা৷ তবে সত্যিই কি তা আকস্মিক? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তা কিন্তু নয়৷ অ্যাটাকের অন্তত একমাস আগে থেকে শরীরই জানান দেয় যে কিছু একটা গড়বড় হচ্ছে৷

তা কী সেই অশনি সংকেত?

করোনারি আর্টারিতে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার দরুনই অ্যাটাকের সম্ভাবনা দেখা যায়৷ তবে তা একদিনে হয় না৷ ধীরে ধীরে সে লক্ষণ ফুটে উঠতে থাকে৷ কীরকম?

১) যদি অতিরিক্ত ক্লান্তিভাব গ্রাস করে, তবে তা অবহেলা করার কিছু নেই৷ কেননা এ ক্লান্তিই পরে অ্যাটাকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে৷ আসলে এই দূর্বলতা হল রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার ফল৷ আর্টারিগুলো সরু হয়ে যাওয়ার ফলে পেশি দূর্বল হয়ে পড়ে৷ এই ক্লান্তি তথা দূর্বলতা কিন্তু অ্যাটাকের অশনি সংকেত৷

২) ঝিমুনিকেও স্বাভাবিক ক্লান্তির কারণ ধরে নিয়ে অবজ্ঞা করা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে৷ কেননা পর্যাপ্ত রক্তপ্রবাহ না থাকার কারণে শরীরে ক্লান্তি, ঘাম ও অস্বস্তি দেখা দিতে পারে৷ এবং এসব বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয়৷

৩) যদি কাঁধে, হাতে ক্রমাগত ব্যাথা হতে থাকে তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷ আর বুকে ব্যথা বা বুকে চাপ ধরলে তো অবহেলা করা উচিতই নয়৷

৪) হার্ট অ্যাটাকের আগে বহু রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, তাঁরা হালকা জ্বরে ভুগছেন৷ কেউবা ঠাণ্ডা লাগায় ভুগছেন৷ এরকম হতে থাকলে কিন্তু শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখা উচিত৷

৫) যদি নিঃশ্বাসের সমস্যা দেখা যায়, দমবন্ধ লাগে, তবে মোটেও অবহেলা করা উচিত নয়৷ প্রতিটি অঙ্গই পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন চায়৷ কিন্তু হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফুসফুসও সমস্যায় পড়ে৷ তাই এই দমবন্ধ অবস্থা দেখা দেয়৷ এর সঙ্গে এসে জোড়ে বমি বমি ভাব, তলপেটে ব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গ৷

সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হার্টের ক্ষতি ধারাবাহিকভাবে হতে থাকে৷ রক্তপ্রবাহ কমতে থাকার লক্ষণ আগেভাগেই জানান দেয় শরীর৷ সেইমতো বুঝে গোড়াতেই চিকিৎসা করলে অনেকসময়ই অ্যাটাকের সম্ভাবনা এড়ানো যায়৷

পাঠকের মতামত

Comments are closed.