178943

১ কোটি ৬৫ লক্ষ রুপি দিয়ে একটি ডিজেল গাড়ি কিনেছিলেন বিধায়ক

বড় সাধ করে নতুন গাড়িটি কিনেছিলেন বিধায়ক। গাড়িও যেমন তেমন গাড়ি নয়। একেবারে ধাঁ চকচকে ভলভো এক্সসি৯০টি৯ এক্সেলেন্স। বিলাসিতায় এই গাড়ি সারা বিশ্বে প্রায় তুলনাহীন। দামও পড়েছিল আকাশছোঁয়া। ১ কোটি ৬৫ লক্ষ রুপি দিয়ে গাড়িটি ঘরে এনেছিলেন তিনি। কিন্তু রাস্তায় সেই সাধের গাড়ি নিয়ে বেরনোর পরেই পেট্রল পাম্পের কর্মীর সামান্য ভুলে যে গাড়িটির সর্বনাশ হয়ে যাবে, তা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি গাড়ির মালিক।

মেঙ্গালুরু সিটি নর্থের বিধায়ক মোহিউদ্দিন বাভা কিনেছিলেন ভলভোর নতুন গাড়িটি। কোটি টাকার বেশি দাম পড়েছিল গাড়িটির। ২৫ মার্চ গাড়িটি হাতে পান বাভা। তার পরে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরন বাভার ছেলে। একটি পেট্রল পাম্পে গাড়িটি নিয়ে যান তেল ভরার জন্য। কিন্তু সেখানেই ঘটে বিপত্তি।

বাভার পুত্রের মুখ থেকে ঘটনার যে বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে, তা থেকে জানা যাচ্ছে, ডিজেল গাড়িটি পেট্রল পাম্পে নিয়ে যাওয়ার পর পাম্পের কর্মীকে অয়েল ট্যাঙ্কে ডিজেল ভরারই নির্দেশ দেন বাভা-পুত্র। কিন্তু ভুলবশত পাম্পের কর্মী তাতে পেট্রল ভরে দেন। তাতে যা হওয়ার তা-ই হয়। গাড়িটি বিগড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত নতুন গাড়িটিকে সারাইয়ের জন্য সার্ভিস সেন্টারে পাঠাতে হয়েছে।
আসলে দেশের অধিকাংশ এসইউভি-ই পেট্রলে চলে। সেই জায়গায় ভলভোর এই গাড়ি ব্যতিক্রম। তার ফলেই পাম্পের কর্মী ভুল করে গাড়িতে পেট্রল ভরে ফেলেন।

মোহিউদ্দিন বাভাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বেঙ্গালুরু-তে গিয়েছিলাম বিধানসভা অধিবেশনের জন্য। সেই সময়েই আমার ছেলে গাড়িটা নিয়ে বেরিয়েছিল। পেট্রল পাম্পে গিয়ে তেল ভরানোর পর দাম দিতে গিয়ে ও টের পায় যে, গাড়িতে পেট্রল ভরা হয়েছে।’

মোহিউদ্দিন কি সংশ্লিষ্ট পাম্পের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেবেন? উত্তরে তিনি বলছেন, ‘না না, তা কেন! কথায় বলে, ভুল মানুষমাত্রেই হয়। কথাটা তো ঠিকই। মানুষ তো আর যন্ত্রের মতো নির্ভুল ভাবে কাজ করতে পারে না।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খনি ব্যবসার মালিক বাভা আদপে কোটিপতি বিধায়ক। ২০১৩ সালে নির্বাচনের আগে নিজের সম্পত্তি ঘোষণার সময়ে নিজের ১৫ কোটি রুপির সম্পত্তির কথা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিলেন বাভা।

সূত্র- এবেলা.ইন

পাঠকের মতামত

Comments are closed.