177941

ভয়ঙ্কর কিছু ঘটবে ১৯ এপ্রিল?

শুক্রবার নাসার পক্ষ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ২০১৪ জেও২৫ নামের এই গ্রহাণুটি ২০১৪ সালের মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনিয়ার ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভের বিজ্ঞানীরা এটিকে আবিষ্কার করেছিল।

পরবর্তী সময়ে নাসার নিওওয়াইজ মিশনে এটিকে আরও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। তা থেকেই জানা গিয়েছিল, আকৃতির (প্রায় ৬৫০ মিটার) দিক থেকে এটি যথেষ্ট বড় একটি গ্রহাণু।

 

 

 

 

আগামী ১৯ এপ্রিল এটি পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে। তবে কাছ দিয়ে গেলেও, পৃথিবী থেকে গ্রহাণুটির দূরত্ব থাকবে চাঁদের দূরত্বের থেকে প্রায় চার গুণ বেশি (১.৮ মিলিয়ন কিলোমিটার)।

 

 

 

 

এই অবস্থায় পৃথিবীতে এর কোনো প্রভাব পড়ার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছেন নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

নাসার পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এটির পৃথিবীর সঙ্গে সংঘাত বা পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়ার কোনো আশঙ্কাই নেই।

তবে যেহেতু এটি পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাচ্ছে, তাই রাতের আকাশে শক্তিশালী দূরবীন এবং ছোট টেলিস্কোপ দিয়ে এটিকে পর্যবেক্ষণ করা যাবে।

নাসার বিজ্ঞানীদের দাবি, ১৯ এপ্রিল এটিকে পৃথিবী থেকে সর্বাধিক ভালোভাবে দেখা যাবে। তারপরে আরও এক বা দু’দিন এটিকে দেখা যাবে।

 

 

 

 

তারপর এটি পৃথিবী থেকে যে দূরত্বে চলে যাবে, তখন এটিকে আর দেখা যাবে না। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্রতি সপ্তাহে বহু ছোট গ্রহাণু পৃথিবীর এরকম দূরত্বে দিয়ে যায়।

কিন্তু আকৃতিগত দিক থেকে এটি উল্লেখযোগ্য। কারণ ২০০৪ সালে শেষবার এরকম একটি বড় আকৃতির গ্রহাণু পৃথিবী থেকে এই দূরত্ব দিয়ে গিয়েছিল।

 

 

 

 

এরপরে আবার সেই ২০২৭ সালে প্রায় ৮০০ মিটার চওড়া ১৯৯৯ এএন১০ গ্রহাণু পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে।

তবে সেই সময় এটি যে দূরত্ব দিয়ে যাবে, তা পৃথিবী-চাঁদের দূরত্বের মাত্র একগুণ বেশি।

অর্থাৎ এবারের থেকেও আরো বেশি কাছ দিয়ে সেটি যাবে। কিন্তু তার আগে এবারের গ্রহাণুটিকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নন বিজ্ঞানীরা।

 

 

 

 

 

কারণ এই দূরত্বে গ্রহাণুটিকে দু’দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হলে, সেটির উপাদান সম্পর্কে (যা এখন দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানীদের গবেষণার অন্যতম বিষয়) অনেক তথ্য জানা যাবে।

নাসার পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, ওইদিন সি/২০১৫ ইআর৬১ নামে একটি ধূমকেতুও পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.