177320

যে কারণে আরবরা ট্রাম্পকে ‘আবু ইভানকা’ নামে ডাকছে

অনির্বাণ বড়ুয়া: সিরিয়ায় আক্রমণের পর আরবের ট্রাম্প ভালোবাসা যেন উপছে পড়ছে। সোস্যাল মিডিয়া টুইটারে ঝড় তুলেছে তারা। ট্রাম্পকে সিরিয়ার ওপর এই আক্রমণের জন্য তারা আদর করে ‘আবু ইভানকা’ বা ইভানকার বাবা বলেও সম্মোধন করছে। অনেকে ধন্যবাদ বলেও শেয়ার করছে নানান ছবি ও ভিডিও।

সবকিছুর শুরু শুক্রবারের সিরিয়ান বিমানঘাঁটিতে মার্কিন আক্রমণের পর। এই ঘটনার পর অনেকে আবু ইভানকার সঙ্গে আবু ইভানকা আল আমেরিকি অর্থাৎ ইভানকার আমেরিকান বাবা হ্যাশট্যাগও জুড়ে দিচ্ছে। তবে সবাই যে এতে খুশি হচ্ছে বিষয়টি এমন নয়। অনেকে আবার মার্কিন এই পদক্ষেপের যারপরনাই সমালোচনা করেছে। তবে ধন্যবাদের পাল্লাই ভারী। ট্রাম্পকে প্রতিশ্রুতির মানুষ বলে সম্মান করে একজন লিখেছে যে, ‘ট্রাম্প তার কয়েক মাসে এমন কিছু করে দেখিয়েছে যা ওবামা আট বছরেও করতে পারেনি’।

আরেকজন ট্রাম্পকে ভালোবাসেন এমন কথা লিখে লিখেছেন, ১৫টি সিরিয়ান বিমান ধ্বংস করা হয়েছে যা হাজার হাজার সিরিয়ানদের মারতে পারতো।

ট্রাম্পকে সাহসী বলেও উল্লেখ করা হচ্ছে, অনেকে এমনও বলছেন যে ট্রাম্প যা করেছে তা অন্য কোনও ভীতু বিশ্বনেতা করতে পারতো না।

রুমি জারাহ নামের একজন সিরিয়ান সাংবাদিক দুই দিক রক্ষা করে লিখেছেন, ‘সিরিয়ানরা ট্রাম্পের মতো এমন একজন বিরক্তিকর মানুষকে প্রশংসা করছে না, তারা এই কারণে খুশি যে আসাদের এখন সিরিয়ানদের মারার জন্য কিছু অস্ত্র কমেছে’।

সেখানে মন্তব্যে আধা লেবাননি আধা ইরাকি কার্শ শ্যারো লিখেছেন, ‘ট্রাম্প অবশেষে মার্কিন রাজনীতির যাদুর কাঠির সন্ধান পেয়েছেন, যা হচ্ছে যখন নিজের দেশে কিছুই ভালো যাবে না তখন মধ্যপ্রাচ্যে একটি সামরিক ঘাঁটি খোলো।’

কয়েকজন আবার নব্য এই ট্রাম্পপ্রেমীদের মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন নির্বাচনের আগে ট্রাম্প আরব মুসলমানদের নিয়ে কী বলেছেন।

একজন সরকারপক্ষীয় সিরিয়ান টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, তাহলে এখন কি ট্রাম্প মার্কিন সেইসব বিমানঘাঁটিতে বোমা ফেলবেন যা রাক্কা ও মসুলে অনেক শিশুকে হত্যা করেছে?

তবে বিষয়টি মার্কিন মুল্লুকের সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা নিচ্ছে ঠিক উল্টোভাবে। তারা মনে করে ট্রাম্প বিশ্বব্যাপি বিশাল এক যুদ্ধে জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই পক্ষটি তাদের প্রচারের জন্য ব্যবহার করছে তিনটি হ্যাশট্যাগ, আমেরিকালস ওভার পার্টি, ট্রাম্পাল ওভার পার্টি এবং হিলারিয়ালস ওভার পার্টি। যার প্রধান অর্থ হচ্ছে বেশি পার্টি হয়ে যাচ্ছে।

কোনও এক বার্নি স্যান্ডার্স ভক্ত লিখেছেন, ‘বার্নি কেবল কলেজ ছাত্রদের সহায়তায় গাঁজাকে বৈধ করতে চেয়েছে, অথচ সেই জন্য আমরা ট্রাম্পকে পেয়েছি সঙ্গে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো প্রদেশে গাঁজাকে বৈধ করার পর এর ব্যবহার কমেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

এদিকে সিরিয়ায় মার্কিন আক্রমণের পর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সিরিয়ান অভিবাসিরা এখন ভয় পেতে শুরু করেছে কবে না তাদেরকে দেশের জন্য ‘শহীদ’ হতে বলে দেয় ট্রাম্প। এটি নিয়েও কৌতুক কম হচ্ছে না।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.