177257

ক্রিকেট ছেড়ে বিচিত্র পেশায় যারা

রিয়াসাত আশরাফ: ক্রিকেট থেকে অবসরের পর অন্য পেশায় নাম লিখিয়েছেন, এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কেউ বেছে নিয়েছেন বক্সিং, কেউ রাজনীতি। কেউ আবার খেলার সূত্রে পাওয়া পুলিশ বা রেলের চাকরি করছেন। বেশ কজন ক্রিকেটার আছেন, যারা অবসরের পর অদ্ভুত সব পেশা বেছে নিয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ আজ ট্যাক্সিচালক, তো কেউ ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এমনই কয়েক জন ক্রিকেটারকে।

আর্থার মেইলি: অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২১ টেস্টে ৯৯ উইকেট পাওয়া মেইলি, অবসরের পর কয়েক বছর সাংবাদিকতা করেন। পরে সিডনিতে একটি মাংসের দোকান খোলেন।

মাইক ব্রিয়ারলি: ব্যাটসম্যান ব্রিয়ারলির চেয়ে অধিনায়ক ব্রিয়ারলিকেই বেশি মনে রেখেছে সবাই। ৩১ টেস্টে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্বে দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে দল জিতেছে ১৭টিতে, হেরেছে চারটিতে। ব্রিয়ারলি ক্রিকেট ছেড়ে লেখক এবং সাইকো অ্যানালিস্টের কাজ নেন। তিনি ব্রিটিশ সাইকো অ্যানালিটিকাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট।

অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ: বোথাম পরবর্তী ইংল্যান্ডের সেরা অলরাউন্ডার ফ্লিনটফের ক্যারিয়ার ছোট হয়ে গিয়েছিল পরপর কয়েকটি ইনজুরির কারণে। ক্রিকেট থেকে অবসরের পর পেশাদার বক্সিং শুরু করেন তিনি। ম্যানচেস্টারে তার প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নজরও কাড়েন ফ্লিনটফ।

আরশাদ খান: পাকিস্তানের হয়ে বেশ কয়েক বছর ক্রিকেট খেলেছেন এই অফ স্পিনার। এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০১ সালে বাদ পড়েন তিনি। বছর চারেক পর আবার ওয়ানডে দলে ডাক পেলেও, ভাল করতে পারেননি। অবসরের পর অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দেন আরশাদ। সেখানে এখন ট্যাক্সি চালান তিনি।

অ্যাডাম হোলিওক: এক সময়ে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে অধিনায়ক অবসরের পর সম্পত্তি মামলায় জড়িয়ে সর্বস্বান্ত হন। দ্রুত রোজগারের আশায় ভয়ঙ্কর কেজ ফাইটিংকে পেশা হিসাবে বেছে নেন অ্যাডাম।

ডেভিড লরেন্স: ইংল্যান্ডের হয়ে মাত্র পাঁচটি টেস্ট খেলেন তিনি। এক মারাত্মক দুর্ঘটনায় ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায় লরেন্সের। কিন্তু দমে যাননি তিনি। লরেন্স এখন পেশাদার বডিবিল্ডার।

কার্টলি অ্যামব্রোজ: ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস স্বর্ণযুগের শেষ সৈনিক বলা হয় অ্যামব্রোজকে। কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে জুটি বেধে বহু হারা ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি দলকে। ২০০০ সালে ক্রিকেট থেকে অবসরের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘ড্রেড অ্যান্ড দ্য ব্যাল্ডহেড’এর সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। গত ১৭ বছর ধরে ওই ব্যান্ডের লিড বেস গিটারিস্ট অ্যামব্রোজ।

ক্রিস লিউয়িস: একটা সময় তাকে ইংল্যান্ডের পরবর্তী ইয়ান বোথাম বলা হত। ৩২ টেস্টে ৯৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। লোয়ার মিডলে ব্যাটিংও করতেন বেশ ভালই। ক্রিকেট থেকে হঠাত্ অবসরের পর অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িয়ে যান ক্রিস। বেশ কয়েক বছর ধরেই পুলিশের নজরে ছিলেন। ২০০৯ সলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাকে। দোষ প্রমাণ হওয়ায় ১৩ বছরের জেল হয় লিউয়িসের।

ডেভিড শেপার্ড: ইংল্যান্ডের হয়ে ২২টি টেস্ট খেলেছিলেন এই ব্যাটসম্যান। তাকে বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বলা হত। ২৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৪৫টি শতরান করা শেপার্ড, ক্রিকেট থেকে অবসরের পর যাজক হন। ২০০৫ সালে ক্যান্সারে মারা যান তিনি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.