177145

কাশ্মীর অশান্ত করতে হাজার কোটি রুপি দিয়েছে পাকিস্তান

নূসরাহ জাহান: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর অশান্ত করে রাখতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দিয়েছে পাকিস্তানে। তাদের পেছনে এক হাজার কোটি রুপি ঢেরেছে পাকিস্তানের সামিরক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসএস)। সম্প্রতি এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে। তবে পাকিস্তান এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর উপত্যকায় চলমান সংকটের সময়ে পাথর ও পেট্রোল বোমা ছোড়ার জন্য সেই অর্থ কাজে লাগিয়েছে পাকিস্তানি জঙ্গিরা। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে নাকি ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে দেওয়া হয়েছে। এ অর্থ সরবরাহ করেছে আইএসআই।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারি কর্মকর্তাদের হাত করে জঙ্গিরা জম্মু ও কাশ্মীরের জঙ্গিদের কাছে ওই অর্থ পৌঁছে দেওয়া হয়। এমনকি এ কাজে কিছ বিধায়কও যুক্ত ছিল। তারা আইএসআইয়ের কাছ থেকে কাশ্মীরে আসার বিষয়টি জানতো। কাশ্মীরের তরুণদের আরো বেশি ক্ষুব্ধ করার কাজে ওই অর্থ ব্যবহার করতো বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারতে তরুণদের এ টাকা দেওয়া হতো।
জম্মু ও কাশ্মীরের হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি এবং দুখতরন-ই-মিলাত গোষ্ঠীর আসিয়া আন্দ্রাবিসহ বহু বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার নাম উঠে এসে ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।

গত বছর ৮ জুলাই ভারতীয় সেনার গুলিতে হিজবুল মুজাহিদিন নেতা বুরহান ওয়ানি নিহত হয়। এরপর অশান্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর। সেনা বাহিনীল বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসেন সাধারণ মানুষ। সেনাদের গুলির জবাবে পাথর বা পেট্রোল বোমা ছোড়ার ছবি প্রায় প্রতিদিনই দেখা গেছে উপত্যকায়।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীর অশান্ত হওয়ার আগ থেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আর্থিক মদদের দেওয়া পরিকল্পনা করেছিল আইএসআই। পাকিন্তান অধিকৃত আজাদ কাশ্মীর পেরিয়ে উপত্যকায় ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। তারাই হাওয়ালার মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে অর্থ তুলে দেয়। হাওয়ালা দিয়ে টাকা পাঠানো বন্ধ করার উপায় নেই। এ পথ দিয়ে পাকিস্তান, সৌদি আরব, ভূমধ্য সাগরীয় দেশগুলো কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে টাকা পাঠাতো পাকিস্তানি কাশ্মীরে। এরপর সেই টাকা যেতো ভারতের কাশ্মীরে। সেই টাকা কয়েক হাত ঘুরে পৌঁছায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে। ভারত বিরোধী আবেগে হাওয়া দেওয়ার পাশাপাশি সেনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে সেই অর্থ কাজে লাগানো হয়।

প্রিতেবেদনে বলা হয়েছে, এই টাকা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তরুণ পাথর ছোড়ার কাজে ব্যবহার করা হতো। তবে এই কাজে প্রশাসনের কারা কারা জড়িত ছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। আর এই টাকা দিয়েই কয়েক মাস ধরে কাশ্মীরে সহিংসতা খুব ভালো জিইয়ে রাখতে পেরেচে পাকিস্তান।

সূত্র: সানডে গার্ডিয়ান।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.