176405

জেনে নিন চা-এর গুণাগুণ

আপনি কি সেই ব্যক্তি যার দিনে নয়-নয় করে, আট-নয় কাপ চা ছাড়া দিন কাটে না? আর এর কারণে প্রায়শই আপনাকে জ্ঞান শুনতে হয় এত চা খাওয়া ভাল নয় বলে?এবার তাহলে জ্ঞান না শুনে বরং জ্ঞান দিন।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে ব্ল্যাক বা গ্রিন যে চা-ই খান না কেন, তাতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শরীরের ফ্রি রেডিকাল্স-এর সঙ্গে লড়াই করে কোষ নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। চা-এ মূলত ভিটামিন সি ও পলিফেনল থাকে। কিছু পরিমাণ প্রয়োজনীয় তেলও থাকে। দিনে দু’কাপ গ্রিন টি খেলে যে পরিমাণ ভিটামিন সি আপনার শরীরে ঢুকবে, তা মোটামুটি এক গ্লাস কমলালেবুর রসের সমান।তাই ব্ল্যাক টি, গ্রিন টি, ওলোং টি, হোয়াইট টি, হার্ব টি, জিঞ্জার টি- যাই খান না কেন, সবই উচ্চগুণসম্পন্ন ৷

এছাড়াও চা-এ রয়েছে অনেক গুণ ৷ যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি ৷ যেমন, পটাশিয়াম, নিয়াসিন, ফোলিক অ্যাসিড, ম্যাঙ্গানিজ় আর অল্প পরিমাণে ভিটামিন বি ওয়ান ও বি টু থাকে চায়ে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে চা খেলে মনোসংযোগ আর ক্ষিপ্রতা বাড়ে।
আমাদের শরীরে থাকা শ্বেত কণিকা মূলত কোনও সংক্রমণের সঙ্গে মোকাবিলার শক্তি জোগায়। গ্রিন টি-র পলিফেনল আর ভিটামিন সি শ্বেতকণিকার সংখ্যা বাড়ায়। ফলে পরোক্ষে প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে সাহায্য করে।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। তাই চা হার্টের অসুখ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
চায়ে থাকা প্রয়োজনীয় তেল হজমে সাহায্য করে। ফুড পয়জনিংয়ের মোকাবিলাও করে। চায়ের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানও ইনফেকশন মোকাবিলায় কাজে দেয়।

চায়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্লুয়োরাইড। এই মিনারেলটি হাড় ও দাঁতের এনামেল অটুট রাখে। তাই চা পান অস্টিওপরেসিসএর সম্ভাবনা যেমন কমায়, তেমনই চায়ের মধ্যে থাকা পলিফেনল মুখের ব্যাকটিরিয়া ধ্বংস করে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.