176052

ভাত না রুটি? উপকার কোনটায় বেশি?

খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে বাঙালীরা সবসময়ই পেটুক। আর যে কোনও পদ খাওয়ার ব্যাপারে ভাতকেই চিরকাল বেছে নিয়েছেন তাঁরা ৷ উত্তর ভারতে যেমন রুটির প্রাধান্য বেশি ৷ বাংলার ছবি কিন্তু ঠিক এর উল্টো ৷ তবে কলকাতার মতো মেট্রো সিটিতে এখন টিনএজারদের রুটির প্রতিই ঝোঁক বেশি ৷ স্বাস্থ্য-সচেতনতা এর প্রধাণ কারণ ৷ কারণ আমরা সকলেই জানি ভাত খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ৷ বিশেষত ডিনারে ভাত খাওয়াটা একেবারেই উচিৎ নয় বলে মত অধিকাংশেরই ৷ কিন্তু জানেন কি ? দু’বেলা শুধু ভাত বা শুধু রুটি খাওয়া উচিৎ নয় ৷ স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে দেখতে গেলে, তাতে কোনও লাভই নেই ৷

আসুন দেখা যাক, ভাত আর রুটির উপকারিতা – ৩০ গ্রাম ভাতের ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট থাকে ২৩ গ্রাম। আবার ৩০ গ্রাম আটার ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট থাকে ২২ গ্রাম। ভাতে প্রোটিন থাকে ২ গ্রাম আর আটা বা রুটির ক্ষেত্রে প্রোটিন থাকে ৩ গ্রাম। ভাতে ফ্যাট থাকে ০.১ গ্রাম এবং আটা বা রুটিতে ফ্যাট থাকে ০.৫ গ্রাম। ভাতে ফাইবার থাকে ০.১ গ্রাম এবং আটা বা রুটিতে থাকে ০.৭ গ্রাম। ভাতে আয়রন থাকে ০.২ মিলিগ্রাম এবং রুটিতে থাকে ১.৫ মিলিগ্রাম। একই পরিমাণ ভাতে ক্যালসিয়াম থাকে ৩ মিলিগ্রাম এবং আটাতে বা রুটিতে থাকে ১২ মিলিগ্রাম। ভাতে এনার্জি থাকে ১০০ ক্যালোরি ও আটাতে থাকে ১০০ ক্যালোরি।

ভাত এবং রুটি দু’টিতেই আছে এমন উপাদান, যা নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে ৷ শিশুর জন্মগত ত্রুটি ঠেকাতে আবার ভারত অনেক বেশি কার্যকর ৷ রুটি ও ভাতে আয়রনের পরিমাণ সমান হলেও ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়ামের পরিমাণ রুটির তুলনায় ভাতে কম।

সব মিলিয়ে ভাত, রুটি দুটিতেই রয়েছে উপকার। চিকিৎসকরা তাই মনে করেন, ভাত ও রুটি মিশিয়েই খাওয়া উচিত। দুটি খাবারই শরীরের কোনও না কোনও প্রয়োজন পূরণ করে। এদের মধ্যে কোনও একটিকে বেছে নেওয়া কখনই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না ৷

পাঠকের মতামত

Comments are closed.