175639

এই ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার ঠোঁট এবং ত্বককে রাখুন সুন্দর

আপনার ত্বকের বয়স যে বাড়ছে, তা বুঝবেন কীভাবে? প্রথম লক্ষণ হিসেবেই ঠোঁট এবং তার আশেপাশের চামড়া কুঁচকে যেতে শুরু করবে। আর যদি তখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেন, তাহলে চোখের সামনেই আপনার সৌন্দর্য কমে যেতে শুরু করবে, আর আপনার কিছুই করার থাকবে না। তবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতির সাহায্যে একেবারে প্রথমেই কিন্তু এই ধরনের সমস্যাকে থামিয়ে দেওযা সম্ভব। কী ভাবে? চলুন জেনে নাওয়া যাক সে সম্পর্কে।

আধুনিক চিকিৎসার মাধ্য়মে কুঁচকে যাওয়া ত্বককে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব, তবে অনেক ক্ষেত্রেই এই সব চিকিৎসার এতটাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে যে ভালর থেকে খারাপ হয় বেশি। তাই তো এক্ষেত্রে বেশি করে ঘরোয়া পদ্ধিতিকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এই সব আদি কালের চিকিৎসায় যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হয় তাতে কেমিকেল থাকে না বললেই চলে। ফলে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। সেই সঙ্গে ঠোঁট এবং ত্বকের উপরি অংশে জমে থাকা মৃত কোষ সরিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত করে তুলতেও এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাহলে অপেক্ষা কিসের। চলুন চোখ রাখা যাক ত্বকের বয়স কমাতে সক্ষম এইসব প্রাচীন পদ্ধতিগুলির দিকে।
১. অলিভ অয়েল: ঠোঁটের পাশপাশি ত্বকের যে যে অংশে চামড়া কুঁচকে গেছে সেখানে অল্প করে অলিভ অয়েল দিয়ে মাসাজ করুন। দেখবেন ফল পেতে শুরু করবেন। আসলে স্কিন ড্রাই হয়ে গেলেই চামড়া কুঁচকে যেতে শুরু করে। অলিভ অয়েল এই শুষ্কতা দূর করতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. দারচিনি গুঁড়ো: অল্প করে দারচিনি পাউডার নিয়ে পরিমাণ মতো ডিস্টিল ওয়াটারের সঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই মিশ্রন ঠোঁট এবং মুখে লাগিয়ে কম করে ১০ মিনিট রেখে দিন। এই পদ্ধতিটি ত্বকের বয়স কমাতে দারুন কাজে আসে।

৩. অ্যালো ভেরা জেল: এক চামচ অ্যালো ভেরা জেল নিয়ে ঠোঁটে লাগান। প্রয়োজন মনে করলে মুখেও এই জেল লাগিয়ে মাসাজ করতে পারেন। প্রসঙ্গত, দিনে দুবার এই পদ্ধতির সাহায্য নিলে ঠোঁট এবং তার আশেপাশের কুঁচকে যাওয়া চামড়া টানটান হতে শুরু করবে দেখবেন।

৪. ভিটামিন-ই তেল: ভিটামিন- ই ক্য়াপসুলের মধ্য়ে থাকা তেল সংগ্রহ করে ঠোঁটে এবং মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এই ঘরোয়া পদ্ধতির সাহায্য নিলে অল্প দিনেই ফল পেতে শুরু করবেন।

৫. ওটমিল: কুঁচকে যাওয়া ত্বককে স্বাভাবিক করতে ওটমিলও দারুন কাজে দেয়। কী করে ব্যবহার করবেন এটি? অল্প করে ওটস নিয়ে ঠোঁটে এবং মুখে লাগিয়ে নিন। কিছু সময় রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।

৬. পেঁপে: ত্বকের উপরে অংশে জমে থাকা মৃত কোষের আবরণ সরিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে পেঁপের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। সেই সঙ্গে ত্বককে টানটান করতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অল্প করে পেঁপে নিয়ে ভাল করে চটকে নিন। তারপর তা ২-৩ মিনিট ধরে ঠোঁট এবং মুখে ভাল করে মাসাজ করুন। সময় হয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখটা ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।

৭. নারকেল তেল: ত্বককে সুন্দর এবং প্রাণবন্ত করে তুলতে নারকেল তেল দারুন কাজে আসে। তাই তো ত্বক এবং ঠোঁটের বয়স কমাতে এই তেলটি এতটা ভাল কাজে দেয়। অল্প করে নারকেল তেল নিয়ে ঠোঁটে এবং মুখে লাগিয়ে মাসাজ করুন। কম করে ১৫ মিনিট তেলটা রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এই ঘরোয়া পদ্ধতিটিকে কাজে লাগালে দেখবেন আপনার ত্বক অল্প দিনেই সুন্দর হয়ে উঠেছে।

৮. আনারসের রস: পরিমাণ মতো আনারসের জুস নিয়ে ঠোঁটে এবং মুখে ভাল করে লাগিয়ে মাসাজ করুন। বলিরেখা কমিয়ে ত্বকের বয়স কমাতে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি দারুন উপকারে লাগে।

৯. চিনির স্কার্ব: পরিমাণ মতো লেবুর রসের সঙ্গে অল্প করে চিনি মিশিয়ে একটা স্কার্ব বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেটি সারা মুখে লাগিয়ে কিছু সময়ের জন্য মাসাজ করুন। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে দুবার এই স্কার্ব দিয়ে মুখ এবং ঠোঁট মাসাজ করলে মৃত কোষের আবরণ সরে যায়, সেই সঙ্গে বলিরেখাও কমতে শুরু করে।

১০. গোলাপ জল: রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে মুখে এবং ঠোঁটে অল্প করে গোলাপ জল লাগিয়ে নিন। প্রতিদিন এমনটা করলে দেখবেন বয়স আপনার ত্বককে ছুঁতেও পারবে না।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.