175567

শিশুকে বুকের দুধ কারা দেবেন না

গাজী খায়রুল আলম: যে অসুখে বা যে সমস্যাতেই প্রসূতি আক্রান্ত হোন না কেন বুকের দুধ না খাওয়ানোর কোনও চরম আবশ্যিকতা কোনও অবস্থাতেই দেখা দেয় না। মা কিছু রোগ বা সমস্যায় আক্রান্ত হলে মায়ের দুধ খেয়ে শিশুর ঐ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাময়িকভাবে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ রাখতে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে মায়ের সিদ্ধান্ত নয়, বিশেষজ্ঞের পরামর্শই শেষ কথা।

শিশু খুব ছোট, বুকের দুধ খায়, এমন মায়ের পক্ষে যে কোনও ওষুধ খাবার আগে যোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। কারণ মা যে ওষুধ খান না কেন, বুকের দুধে ওষুধটি অল্পপরিমাণ হলেও আসবে। বুকের দুধ খাওয়া ঐ শিশুর শরীরে ঢুকবে। ক্ষেত্রবিশেষে কিছু ওষুধ এভাবে ঢুকে শিশুর শরীরে নানা অবাঞ্ছিত ও ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।

মায়ের অপুষ্টি কোনও অবস্থাতেই মাযের পক্ষে শিশুকে বুকের দুধ না খাওয়ানোর যুক্তি হতে পারে না। দেখা গেছে, অপুষ্টিতে ভোগা মাও শিশুকে প্রথম ছ‘মাস পরযন্ত যথেষ্ট পরিমাণে বুকের দুধ জোগাতে পারেনা। যদিও দুগ্ধদাত্রী মাযের ক্ষেত্রে সুষম খাবারদাবার খাওয়া জরুরী।
যে সব মায়েরা শিশুকে বুতের দুধ খাওয়াতে সমস্যা-
১। মা সক্রিয় যক্ষ্মা, ক্যান্সার, কুষ্ঠ বা এইডসে আক্রান্ত হলে। যক্ষ্মা বা কুষ্ঠের চিকিৎসা চলছে এমন মায়ের শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পরামর্শ দেন অনেক বিশেষজ্ঞই।

২। মা নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ খেলে বা খুব বেশি মাত্রায় সিগারেট বা অ্যালকোহলে আসক্ত হলে বুকের দুধ শিশুর শরীরে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

৩। মা সাইকোসিস, স্কিজোফ্রেনিয়া বা এম.ডি.পি-র মতো মানসিক সমস্যায় ভুগলে শিশুকে বুকের দুধ দিতে সমস্রা হতে পারে।

৪। নিপলে ফাটা, কাটা, ছেঁড়া বা স্তনে ফোঁড়া হলে সাময়িকভাবে স্তন্যপানে সমস্যা দেখা দেয়। কোনও অবস্থাতে বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নিজের বুদ্ধিতে বা অন্যের কথায বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো বন্ধ করবেন না।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.