174384

কক্সবাজার থেকেই পর্যটকরা যেতে পারবেন সেন্টমার্টিনে

নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেছেন, সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকদের ভ্রমণ সুবিধার জন্য কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী খনন করা হচ্ছে। তবে নদীটি খনন করা হলে একই সাথে উপকৃত হবেন কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়া উপকুলীয় উপজেলার মানুষও। কেননা বাঁকখালী নদীর গভীরতা বাড়লে এই চার উপজেলার সাথে নিয়মিত নৌ যোগাযোগ আরো প্রসারিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারে উত্তর নুনিয়াছড়া জেটিঘাটে বাঁকখালী নদীর খনন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী এ কথা বলেন।

এতদিন ধরে টেকনাফ হয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আসা-যাওয়ার কথা উল্লেখ করে নৌমন্ত্রী বলেন, ‘এবার এর সাথে নূতন সংযোজন হিসেবে কক্সবাজার শহরের নৌঘাট দিয়েই সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা। দেশের নানা প্রান্ত থেকে কক্সবাজার শহরে এসেই সেন্টমার্টিন আসা-যাওয়ায় একই সাথে অর্থ এবং সময়েরও অর্ধেক সাশ্রয় হবে। সেই সাথে এই নৌ ভ্রমণে আনন্দও বাড়বে। ’

বিআইডাব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, বাঁকখালী নদী খনন প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দ করা হয়েছে ২০৪ কোটি টাকা। নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রাখতেই হাতে নেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পটি। বাঁকখালী নদীর ৩৪ কিলোমিটার অংশের মধ্যে নদী খনন ছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করবে বেল জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। বাঁকখালী নদী খনন ছাড়াও টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের ডুবোচরও পরিষ্কার করা হবে। এসব ডুবোচরে ভাটার সময় সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজগুলো প্রায়শ আটকা পড়ে থাকে। একারনে সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌ পথের কমপক্ষে ১৯ লাখ ঘনমিটার অংশ খন করবে বিআইডাব্লিউটিএ।

বাঁকখালী নদী খনন প্রকল্প উদ্বোধনের আগে মন্ত্রী শহরের কস্তুরাঘাটস্থ বিআইডাব্লিউটিএ এর নব নির্মিত বাংলো ভবনের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি কলাতলী লাইট হাউজস্থ নৌবাহিনীর লাইট হাউজের আধুনিকায়ন কাজেরও উদ্বোধন করেন। এরপর বিকালে তিনি কক্সবাজার শহরের শহীদ দৌলত ময়দানে  শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তৃতা করেন।
এ সময় নৌমন্ত্রীর সাথে ছিলেন কক্সবাজার সদর- রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসেনর সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অবঃ) ফোরকান আহমদ, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহা পরিচালক কমোডর আরিফ, বিআইডাব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমোডর মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ তালুকদার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ও জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফি উল্লাহ আনসারী।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.