174234

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এই ঘরোয়া টোটকা খুবই উপকারি

ব্লাড সুগার এখন প্রত্যেক বাড়ির অসুখ। আর সকল রোগিই অ্যালোপাথির দিকেই ছোটেন। তবে এক্ষেত্রে একটি ঘরোয়া চিকিৎসা দারুন কাজে আসে। এই হোম রেমিডিটি ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুন কার্যকরি। তাই ডায়াবেটিকদের একবার এই সুপ্রাচীন চিকিৎসটা করে দেখাই উচিত। খারাপ ফল যে পাবেন না, সে কথা হলফ করে বলতে পারি। তবে যাদের কিডনির কোনও রোগ আছে তারা এই ঘরোয়া চিকিৎসাটি একেবারেই করবেন না।

এই ঘরোয়া ওষুধটি বানাতে প্রয়োজন পরবে সেলারি শাক আর লেবুর। প্রসঙ্গত, সেলারি শাকে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার রয়েছে, যা হজম ক্ষমতাকে বাড়ায়। সেই সঙ্গে ব্লাড সুগারের ওঠা-নামাও কমায়। শাক হিসাবে রান্না করে অথবা সুপে দিয়ে সেলারি শাক খেতে পারেন। আর যদি এইসব করার সময় না পান, তাহলে প্রতি ঘন্টায় অল্প অল্প করে শাকটি খেতে থাকুন। তাহলেও দারুন উপকার পাবেন। তবে এই চিকিৎসাটি শুরু করার আগে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে ভুলবেন না।

উপকরণ:
১. ৩০০ গ্রাম সেলারি শাক
২. ৫-৬ টা লেবু

ধাপ ১:
শাকটা ভাল করে ধুয়ে নিয়ে পিষে নিন। এবার একটা বাটিতে পিষে নেওয়া শাকটা নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো লেবুর রস মেশান। দুটি উপকরণ মেলানো হয়ে গেলে বাটিটা ঢেকে দিন।

ধাপ ২:
এবার একটা স্টিলের বাসন নিয়ে হাফটা জলে ভরে দিন। তারপর যে বাটিতে সেলারি শাক আর লেবুর মিশ্রনটি রয়েছে সেই বাটিটা ওই জল ভর্তি স্টিলের বাসনের মধ্য়ে রেখে জলটা ফোটান। অল্প আঁচে জলটা কম করে ২ ঘন্টা ফোটাতে থাকুন। সময় হয়ে গেলে আঁচ বন্ধ করে দিন। কিন্তু বাটির ঢাকনাটা খুলবেন না।

ধাপ ৩:
বাটিটা ঠান্ডা হয়ে গেলে সেটা ফ্রিজে রেখে দিন। প্রতিদিন সকালে ব্রেকফাস্টের আধ ঘন্টা আগে এক চামচ করে এই রসটা খেলেই দেখবেন ব্লাড সুগার লেভেল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, এই ঘরোয়া ওষুধটি কম করে দুমাস টানা খেলে তবেই ফল মিলবে কিন্তু!

ওষুধ ২:
আরেক ভাবে এই ওষুধটি বানাতে পারেন। একটা বাটিতে ২ কাপ জল নিয়ে তাতে ১ চামচ সেলারি বীজ ভিজিয়ে জলটা অল্প আঁচে ২৫ মিনিট ফোটান। তারপর জলটা চায়ের মতো করে দিনে একবার খেলে দেখবেন একই রকম উপকার পাচ্ছেন।

তথ্য ১:
সেলারি শাকে ভিটামিন -কে রয়েছে, যা প্রদাহ কমায়। সেই সঙ্গে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রকোপও হ্রাস করে।

তথ্য ২:
আমাদের শরীরে এইচ পাইলোরি নামে একটি ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পাওয়া যায়, যা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়। প্রসঙ্গত, সেলারি শাক এই ব্যাকটেরিয়ার জন্ম আটকায়। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.