174123

এই ঘরোয়া পানিয়টি ধরে রাকবে স্মৃতিশক্তি

কাজে-কর্মে উন্নতির জন্য স্মৃতিশক্তি ভাল হওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। ধরুন আপনি মনে রাখতে পারছেন না কোন কাজটা করেছেন, কোনটা করেননি। অথবা প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা দিয়েছেন কিনা আপনার হঠাৎ করেই মনে পরছে না। বাড়ি যাবেন, কিন্তু কাজ করতে করতে গাড়ির চাবিটা কোথায় রেখেছেন একেবারে খেয়াল আসছে না। এমন সব ঘটনা যদি আপনার সঙ্গে ঘটতে শুরু করে, তাহলে জীবনটা কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে একবার ভাবুন তো! তাই তো বলি স্মৃতিশক্তি নামক ব্রহ্মাস্ত্রটির খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এমনটা করলে শুধু কর্মজীবনে উন্নতি ঘটবে না, সেই সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনও অনেক সহজ হয়ে যাবে।

কিন্তু কীভাবে বাড়াতে হয় মেমরি? এক্ষেত্রে একটি ঘরোয়া ওষুধ আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এই ওষুধটি ব্রেণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ফলে স্বাভাবিক ভাবেই স্মৃতিশক্তিও ভাল হতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্য়মে মস্তিষ্ক নানা ঘটনাকে তথ্য হিসাবে স্টোর করে। এই তথ্যই হল স্মৃতি। তাই তো পড়াশোনার ক্ষেত্রে, নতুন কিছু শিখতে, কাউকে চিনতে, এমনকি আমাদের স্বভাব কেমন হবে সেক্ষেত্রেও স্মৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। স্মৃতিশক্তি তখনই ভাল হবে যখন ব্রেণসেলগুলির ক্ষমতা বাড়বে। আর এই কাজেই আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই প্রবন্ধে আলোচিত ঘরোয়া ওষুধটি।

প্রয়োজনিয় উপকরণ:
১. তেজ পাতা: ৩-৪টি
২. অলিভ অয়েল: ১ চামচ

এই ঘরোয়া ওষুধটি নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যায়, শরীরচর্চার দিকে নজর দেওয়া যায় আর ব্রেণকে যদি সব সময় কাজে লাগিয়ে রাখা যায়, তাহলে স্মৃতিশক্তি বাড়বেই। প্রসঙ্গত, তেজ পাতায় এমন কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ রয়েছে, যা মস্তিষ্কে অক্সিজেনের যোগান ঠিক রাখে। ফলে মেমোরি ফাংশনের উন্নতি ঘটে। অপরদিকে অলিভ অয়েল ভিটামিন- ই সমৃদ্ধ। এই উপাদানটি ব্রেণের ক্ষমতা বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তি ভাল করে।

ওষুধটি বানানোর প্রক্রিয়া:
১. পরিমাণ মতো তেজ পাতা নিয়ে সেগুলি পিষে নিন। ততক্ষণ পর্যন্ত পিষবেন, যতক্ষণ না তেলের মতো একটি উপাদান পাচ্ছেন।
২. এবার তেজপাতা থেকে পাওয়া তেল জাতীয় তরলটি এক চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে মেশান।
৩. প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম জলের সঙ্গে এই ওষুধটি খান।
৪. টানা ২ মাস খেলেই দেখবেন স্মৃতিশক্তি ভাল হতে শুরু করে দিয়েছে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.