174010

৩০-এর পর মেয়েদের অবশ্যই এই টেস্ট গুলি করানো উচিত

মেয়ে হওয়া মোটেই সহজ কাজ নয় সেটা প্রত্যেকটা মহিলাই বোঝেন। এখন যিনি ৩০-এর কোটায় পা দিতে চলা মহিলারা মায়ের খিট খিট করার কারণ গুলি বুজতে পারছনে। আসলে বাড়ি আর অফিস, এই দুই জগৎ একসঙ্গে সামলাতে গিয়ে আপনাদের যে কী দশা হয়, তা বলে দিতে হবে না। আর এই দুটি দুনিয়ার মাঝে ব্যালেন্স করেত গিয়ে মাঝখান থেকে নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখাই হয়ে ওঠে না আপনাদের। ফলে নানা রোগে শরীর ধীরে ধীরে কাহিল হতে শুরু করে। তাই তো ৩০ পেরতে না পেরতেই নিয়মিত কতগুলি পরীক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন। আসলে এই বয়সের পর থেকে মেয়েদের শরীরে নানা পরিবর্তন আসতে শুরু করে। ফলে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই কারণেই তো টেস্টগুলি করা প্রয়োজন। কারণ রোগের প্রকোপ বাড়ার আগেই যদি তার চিকিৎসা শুরু করা যায়, তাহেল বহু দিন পর্যন্ত সুস্থভাবে বেঁচে থাকার পথে কোনও কিছুই অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তাহলে এখন প্রশ্ন ৩০ বছর হতে না হতেই কী কী টেস্ট করতে হবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।

১. উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট: নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর অবশ্যই দেখতে হবে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিয়েছে কিনা। আর যদি কারও আগে থেকেই এই রোগ থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরমর্শ মতো মাঝে মধ্যেই ইকোকার্ডিওগ্রাম করে দেখে নিতে হবে হার্ট সুস্থ আছে কিনা। কারণ ভুলে গেলে চলবে না অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন থেকে কিন্তু নানা ধরনের জটিল হার্টের রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

২. বোন ডেনসিটি টেস্ট: শরীরে ভিটামিন- ডি এর ঘাটতি দেখা দিলে ধীরে ধীরে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। আর তার থেকে দেখা দেয় অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো জটিল রোগ। আর একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে মহিলাদের এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা পুরুষদের তুলনায় বেশি থাকে। তাই নিদির্ষ্ট সময় অন্তর অন্তর বোন ডেনসিটি টেস্ট করে দেখে নেওয়া উচিত হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক আছে কিনা।

৩. থাইরয়েড ফাংশনিং টেস্ট: গত কয়েক বছরে মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েড রোগে আক্রান্তের হার খুব বেড়ে গেছে। রোগীদের মধ্যে কেউ হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত, তো কেউ হাইপারথাইরয়েডিজমে। তাই তো ৩০ পেরলেই নিয়মিত থাইরয়েড টেস্ট করা একান্ত প্রয়োজন।

৪. ডায়াবেটিস: একথা কারও অজানা নেই যে গত কয়েক দশকে সারা বিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশেও ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগের প্রকোপ মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে। আর মহিলারাো কিন্তু এই রোগের আগ্রাসন থেকে বেঁচে নেই। বিশেষত গর্ভবতি এবং ওবেস মহিলারা। তাই যাদের ওজন একটু বেশির দিকে তাদের কিন্তু বয়সের কাঁটা ৩০ ছুঁলেই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করে দেখতে হবে শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বেঁধেছে কিনা। প্রসঙ্গত, গর্ভাবস্থায় হওয়া ডায়াবেটিসকে যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা না যায় তাহলে প্রসবের সময় নানা রকমের জটিলতা হওয়ার আশঙ্কা তাকে। শুধু তাই নয় পরবর্তিকালে মায়ের টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।

৩০৫. ম্যামোগ্রাম: ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত কিনা জানতে এই টেস্টটি করা হয়ে থাকে। সাধারণত এই পরীক্ষাটি ৪০ বছরের পর করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে যাদের পরিবারে এই রোগের ইতিহাস আছে তারা ৩০ পরলেই চিকিৎসকের বলে দেওয়া সময় অনুসারে এই পরীক্ষাটি একবার করিয়ে নেবেন। এমনটা করলে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে একেবারে প্রথমেই আটকে দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে কমবে জটিলতার আশঙ্কা।

৬.প্যাপ স্পিয়ার টেস্ট: ৩০ এর পর এই টেস্টটি মহিলাদের ক্ষেত্রে মাস্ট। কারণ কি জানেন? আজকাল সার্ভিকাল ক্যান্সারের প্রকোপ খুব বৃদ্ধি পয়েছে। আর এই টেস্টটি এই রোগের ডিটেকশনে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।

৭. অ্যানিমিয়া: মহিলাদের যে যে রোগগুলি বেশি হয়, তার মধ্য়ে অন্যতম হল অ্যানিমিয়া। তাই তো ৩০-এর পর থেকেই কয়েক মাস অন্তর অন্তর সাধারণ একটা ব্লাড টেস্ট করে দেখে নেওয়া উচিত এই রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে কিনা।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.