173768

মাত্রাতিরিক্ত শব্দ স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক!

নূসরাত জাহান: শব্দের মধ্যেই বাস আমাদের। ঘরের মধ্যে বাইরে তো শব্দ আছে। ঘরের ভেতরেও আওয়াজের কমতি নেই। টেলিভিশন তো আছেই, পাশাপাশি অত্যাবশ্যকীয় সঙ্গী মোবাইল তো আছেই। যা ক্ষণে ক্ষণে বেজেই চলে। তাইকটু নিঃশব্দে থাকাটা বেশ মুশকিল। তবে কম শব্দের মধ্যে থাকার বেশ উপকারিতা আছে। শরীর ভালো রাখার পাশাপাশি তেমনি মানসিক চাপও কমায়

মাত্রাতিরিক্ত শব্দ মানবদেহের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। একইসঙ্গে অ্যাংজাইটি মানসিক চাপও বাড়ায়। আর কম শব্দ বা নিস্তব্ধতা মানবদেহের জন্য কতটা উপকার আসুন জেনে নেই।
মনসংযোগ বাড়ায়: কম কথা বললে বা কম ব্দের মধ্যে থাকলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। এটা মনসংযোগও বাজায়। দিনের শুরুতে তিন মিনিট চুপ থাকলেই দেখবেন কর্মক্ষমতা কতটা বেড়ে যাবে।
মস্তিষ্কের সেলের বৃদ্ধি করে: প্রতিদিন নিয়ম প্রাণায়ম করলে মস্তিষ্কের সেলের বৃদ্ধি হয়। নতুন কোষেরা জন্ম নেয় মস্তিষ্কের হিপোকম্পাসেযা নতুন কিছু শেখার ক্ষমতা বাড়ানো পাশাপাশি স্মৃতিশক্তিও বাড়ায়।
মানসিক চাপ কমায়: যখন বুঝতে পারবেন চাপ বাড়ছে তখনই একটা নিস্তব্ধ জায়গায় চলে যাবেন। কিছুক্ষণ সেখানে দীর্ঘ শ্বাস নেবেন। এমনটা করলে অল্প সময়ের মধ্যেই মানসিক চাপ দূরে হয়ে যোবে।মাত্রাতিরিক্ত শব্দ মস্তিষ্ককে অস্থিত করে তোলে। যার বিরূপ প্রভাব পড়ে শরীরের পর। আর নিস্তব্ধতা মস্তিষ্ককে শান্তি দেয়, টেনশন দূর করে।
অনিদ্রা দূর করে: ঠিকমতো ঘুমের জন্য নীরবতা খুব দরকার। শব্দের কারণে অনেকেই ঠিক মতো ঘুমাতে পারেন না। নিঃশব্দ পরিবেশ অনিদ্রার সমস্যা দূর করে। তাইতো দিনে যদি আধাণ্টা মেডিটেশন করা যায় তাহলে অনিদ্রা, আবসাদ এমনকি ক্লান্তি দূর হয়। শরীর ও মন দুইসতেজ হয়
রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে: যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত কিছু সময় শান্ত পরিবেশে থাকলে রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। কারণ নীরবতা শরীরকে ভেতর থেকে চাঙা করে।
ডিফল্ট মোড: শব্দ কানের কাছে আসতে না পারলে মস্তিষ্ক তার পুরনো বা ডিফল্ট সেটিং-এ ফিরে যায়। এমনটা হলে সৃজনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সার্বিকভাবে মন শান্ত থাকে। তাই যারা সৃজনশীল কাজকরনে তাদের শব্দহীণ পরিবেশে থাকা জরুরি।
ক্লান্তি দূর করে: অতিরিক্ত শব্দ শরীর ও মন দুটোকেই ক্লান্ত করে দেয়। প্রাণশক্তি ফিরে পেতে হলে  দিনের কিছুটা সময় শব্দহীন পরিবেশে থাকাটা জরুরি। এমনটা করলে শরীর ও মস্তিষ্ক হারানো ভারসাম্য ফিরে পাবে। ফলে কর্মক্ষমতা বাড়বে। আসুন আমরা দিনের কিছুটা সময় হলেও নিঃশ্চুপ থাকি, শব্দহীন পরিবেশে থাকি।
সূত্র: বোল্ড স্কাই।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.