173703

পিরিয়ডের সময় পেছাবেন যেভাবে

নূসরাত জাহান: পিরিয়ডের সময় অনেকেই অুসস্থ থাকেন। ওষুধ খেয়ে সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে না। এ সময় মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্ষুধা মন্দা, অনিদ্রা, পেটে ব্যথাসহ নানা সমস্যা হয় মেয়েদের। কেউ উচ্চ রক্তচাপ, আবসাদ ও মেজাজ খিটখিটের মতো সমস্যায় ভোগেন। এমন সব শারীরিক সমস্যা সামলে দৈনন্দিন কাজ করা মোটেই সহজ নয়। এখন এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি। কিছু সহজ পদ্ধতি আছে যেগুলো মেনে চললে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই পিরিয়ডের সময়ও পিছিয়ে দেওয়া যাবে। আসুন জেনে নেই কিভাবে সেটা করা সম্ভব।
১. পিরিয়ড শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতিদিন মসুর ডাল পাতলা করে রান্না করে খান। এতে কম করে হলেও এক সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে পিরিয়েডের সময়। অন্তত এক সপ্তাহ ভালো থাকবেন।


২. ঝাল ও মশলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলুন। এ ধরনের খাবার খেলে রক্ত প্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে সময়ের আগেই অনেক সময় পিরিয়ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পিরিয়ডের ভোগান্তি আগেভাগে পেতে না চাইলে ঝাল-মশলাদার খাবার না খাওয়াই উচিত।
৩. নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, পিরিয়ড শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতিদিন দৌঁড়ালে বা শরীর চর্চা করলে পিরিয়ডের সময় পিছিয়ে যায়।
৪. পিরিয়ডের সময় পেছাতে চাইতে পার্সলে শাক খান। কয়েকটি পার্সলে শাকের পাতা হাফ লিটার পানিতে ফেলে অল্প আঁচে ১৫ মিনিট সিদ্ধ করুন। তারপর পানি ফেলে দিয়ে হালকা হালকা গরম শাকটা খেয়ে ফেলুন। এমনটা করলে হাতেনাতে ফল পাবে। পিরিয়ডের নির্ধারিত সময় পিছিয়ে যাবে।
৫. মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় পিরিয়ডের সময় পিছিয়ে যেতে পারে। তবে অকারণে মানসিক চাপের মধ্যে থাকা ঠিক হবে না। নিজের মানসিক চাপ বাড়িয়ে পিরিয়ড পেছানো ঠিক হবে না। কারণ এ থেকে শরীর ও মনে অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৬. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার বেশ কার্যকরী। এক গ্লাস পানিতে ২-৩ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করুন। এই মিশ্রণটি পিরিয়োড শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকে দিনে কম করে দুবার খেলেই কাজ পাবেন।
৭. এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ সিরিশ আঠার পাউডার মিশিয়ে পান করুন। বিশেষ এই পানীয়টি পিরিয়েডের সময় পিছিয়ে দিতে ভূমিকা রাখে।
তবে বিশেষ কোনো সমস্যা না থাকলে পিরিয়ডের সময় না পেছানোর চেষ্টা করাই ভালো।

সূত্র: বোল্ডস্কাই।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.