বসন্ত রোগ থেকে বাঁচার উপায়
প্রশান্ত মান্না: দিনের বেলা সূর্যের তেজ এবং রাতের দিকের ঠান্ডা হাওয়াই বুঝিয়ে দিচ্ছে বসন্ত এসে গেছে। আর বসন্তকাল মানেই চিকেনপক্স এবং বসন্ত রোগের আগমন। কীভাবে ছড়ায় এই রোগ? এর প্রতিষেধকই বা কি? কিভাবে বুঝবেন আপনি বসন্ত রোগে আক্রান্ত? জেনে নিন-
মূলত ভ্যারিসেলা ভাইরাসের দ্বারাই একজনের শরীর থেকে অন্যর শরীরে ছড়ায় চিকেন পক্স। মূলতে শিতের শেষে এবং বসন্তের শুরুতে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় এই ভাইরাসটি বাতাসে উড়ে বেড়ায়। এবং ১৪ বছর বয়স পর্যন্তই পক্স হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে ছোটবেলায় পক্স হয়নি বলে বড় হয়ে তা হবে না এটা ভাবাটা ভুল।
রোগের উপসর্গ গুলি কি কি?
জ্বর, মাথার যন্ত্রণা, কোমরে পিঠে ব্যাথা, দুর্বল ভাব এবং ফ্লুয়ের মতো লক্ষণ থাকে। দুই-তিন দিন ধরে প্রায় শরীরের উষ্ণতা বেড়ে যায় ১০০ থেকে ১০০৪ ডিগ্রিতে। এরপর মুক হাত, কপাল, বুক এ পিঠে ফুসকুড়ি বের হতে শুরু করে। সবথেকে বড় বিষয় হল এটি ছোঁয়াচে রোগ। একজন রোগীর দেহ থেকে অন্য আর এক জনের শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
চিকিৎসকদের মতে-
কোনো শিশু পক্সে আক্রান্ত হলে আনুমানিক কোনো সমস্যা না থাকলে লক্ষণ অনুযায়ী সাধারণ জ্ব, অ্যালার্জির চিকিৎসাই করা হয়।
ভ্যাকসিন-
চিকেন পক্সের প্রধান ভ্যাকসিন “ওকা ভ্যাকসিন”। ১২-১৫ মাস বয়সে এর প্রথম ডোজটি দিতে হয়। দ্বিতীয় ডোজটি দিতে হয় ৪-৬ বছর হয়ে গেলে। ১২-১৫ মাস বয়সে টিকাটি নেওয়ার পর পক্স হয়ে যায় তাহলে দ্বিতীয় ডোজটি নেওয়ার দরকার পড়ে না। কিন্তু যদি না হয় তাহলে দুটি টিকাই নিতে হবে। কিন্তু ১৩ বছর পর্যন্ত যাদের একেবারেই ভ্যাকসিনটি নেওয়া হয়নি তারা ১৩ বছর বয়সের পর যে কোনো বয়সে একমাসের ব্যবধানে এই ভ্যাকসিন নিয়ে নিতে পারে।