173598

একটি ভিডিও গেমের ফলই বলে দেবে আপনি ড্রাগে আসক্ত কিনা!

একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে সমস্ত টিনএজারদের মধ্যে ড্রাগ নেওয়ার প্রবণতা আছে তা একটি নতুন ধরণের ব্রেণ স্ক্যানের মাধ্যমে জানা যাবে। এমনকি ড্রাগ নেওয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত আচরণগুলি চোখে পড়ে সেগুলি শুরুর আগেই তা ধরা পড়ে যাবে।

মনবিদরা জানেন যে, যেসমস্ত বাচ্চারা নতুনত্ব খোঁজার পরীক্ষায় (নভেলটি সিকিং টেস্ট) ভালো ফল নিয়ে আসে অথবা অ্যাভারেজ নম্বর নিয়ে আসে তাদের মধ্যে ড্রাগের অপব্যবহার করার প্রবণতা দেখা যায়।

ইউ্এসএর ইউনিভার্সিটি অফ স্ট্যান্ডফোরড এবং জার্মানির ইউনিভার্সিটি অফ মেডিক্যাল সেন্টার হ্যামবার্গ-ইপেনডর্ফ-এর গবেষকরা জানাচ্ছেন যে এই ব্রেণ স্ক্যানিং টেস্ট নভেলটি সিকিং টেস্টের তুলনায় ভালো রেজাল্ট দেয় এই স্ক্যানিংয়ের নাম হল মনিটারি ইনসেনটিভ ডিলে টাস্ক।

১৪৪ জন কিশোরের উপর গবেষণা করে রিসার্চাররা দেখেছেন যে, ১৪ বছর বয়সী বাচ্চারা যাদের মধ্যে ড্রাগ নেওয়ার প্রবণতা এখনও তৈরি হয়নি তারাও এই নভেলটি টেস্টে ২৫%-এর উপর স্কোর করেছে।

তারা এমআইডি টেস্টের দ্বারা মস্তিষ্কের একটি অংশকে লক্ষ্য করে পরীক্ষা করছেন, যা মানুষের মানসিকতাকে নিয়ন্ত্রন করে। এই টেস্ট চলাকালীন অংশগ্রহণকারীদের ম্যাগনেটিক রিসেন্যান্স ইমাজিন (এমআরআই) ব্রেন স্ক্যানারের উপর শুয়ে একটি ভিডিও গেম খেলতে হবে পয়েন্ট বাড়ানোর জন্য। এই পয়েন্ট গুলিকে তারা টাকায় বদলে ফেলতে পারবে। প্রত্যেকটি পর্ব শুরুর আগে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে জানিয়ে দেওয়া হবে ওই পর্বটি জেতার আগে তাকে কত পয়েন্ট তুলতে হবে। এই সময় থেকে অংশগ্রহনকারীরা ভবিষ্যতে কতটা পয়েন্ট তুলবে তা চিন্তা করতে থাকে। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই একা একা এই অনুমান করার পদ্ধতি মস্তিষ্কে তীব্র ভাবে কাজ করে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পুরস্কারের জন্যে অনুমান করার ক্ষমতা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের থেকে খুবই কম। কিন্তু যদি কোনো বাচ্চা ড্রাগ নিয়ে থাকে তাহলে তা জোরালো ভাবে কাজ করে। কারণ, যদি সে ড্রাগ নিয়ে থাকে তাহলে ড্রাগ তার মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতাকে দমন করে। অথবা তাদের মস্তিষ্ক ড্রাগ নেওয়ার দিকে তাদের প্রলুব্ধ করে, গবেষকদের বক্তব্য অনুযায়ী।

এই টেস্টের দ্বারা ভবিষ্যতে যদি কেউ ড্রাগ নিতে যায় তাও ধরা পড়ে যাবে। স্ট্যান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটির মনবিদ ব্রায়ান নুস্টন জানিয়েছেন, “এই পদ্ধতিটি খুবই কার্যকর। যদিও এটা ড্রাগের বিষয়ে নতুন কিছু করার জন্য একটি ছোট প্রয়াস। এবং এটি এক এক জনের উপর নানা ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।”

পাঠকের মতামত

Comments are closed.