173407

সুপার মার্কেটে নিজের স্ত্রীকে দেখে চিনতেই পারলেন না, তারপর?

জ্যাসন হিউলেট একজন সুখি বিবাহিত পুরুষ। এবং ৪ সন্তানের পিতা। পেশাগত দিক থেকে একজন বিনোদন জগতের মানুষ। একদিন সুপার মার্কেটের বিলিং কাউন্টারে একজন সুন্দরি মহিলাকে দেখতে পেলেন, যিনি তাঁর থেকে বেশ খানিকটা আগে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঠিক সেই মুহুর্তে তিনি তাঁর প্রতি কিছু একটা আকর্ষণ অনুভব করেন। যদিও তাঁর অস্বস্তি হতে থাকে এই ভেবে যে তিনি হয়ত তাঁর স্ত্রীকে ঠকাচ্ছেন। জ্যাসন তাঁর ফেসবুক পোস্টে জানান, “আমি সুপার মার্কেটে গিয়েছিলাম নিজস্ব কিছু জিনিস কেনার জন্য। যখন আমি বিলিং কাউন্টারে এসে দাঁড়ালাম, একজন মহিলাকে দেখে আমি ভাবলাম, কোনো ভাগ্যবানই এর সঙ্গী হবে।”

কয়েকটা মুহুর্তের মধ্যেই তিনি বুঝলেন, মহিলাটি আসলে তাঁর স্ত্রী, যিনি কাকতালীয় ভাবে ঠিক একই সময় এবং একই সুপারমার্কেটে কেনাকাটা করতে এসেছেন। তিনি তাঁর স্ত্রীকে দেখে ডাকার বদলে চুপচাপ তাঁকে দেখতেই থাকলেন। এবং অন্তরের গভীর থেকে আসা কিছূ অনুভুতি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি জানান, “প্রথমত, দ্বিতীয়বার তাকে আমি নতুন ভাবে দেখলাম। আমি তাকে সবসময়ই দেখি। কিন্তু আজ তাকে আমি আবার নতুন চোখে দেখলাম। দ্বিতীয়ত, আমার ভালো লাগলো এটা দেখে যে সে আমাকে এত টুকুও খেয়াল করেনি। এটার ভালো খারাপ দুটি দিকই আছে। ভালো দিকটি হল সে আমাকে ছাড়া অন্য পুরুষের দিকে তাকায় না। আর খারাপ দিকটি হল আমি তার এত কাছে থাকা স্বত্ত্বেও সে আমাকে অনুভুত করতে পারল না। কোথাও যেন আমি নিজের অসম্পূর্ণতা, অক্ষমতা দেখে নিরাপত্তা হীনতা বোধ করলাম্ তৃতীয়ত, আমি আনন্দিত হলাম তাকে একজন আত্মবিশ্বাসী, স্বাধিনচেতা এবং সমর্থ মনুষ হিসাবে দেখে। কাউন্টার থেকে সে তার জিনিস গুলি নিয়ে দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেল। আমি তাকে কিছু বলিনি এমনকি তাকে ডাকিওনি। শুধু নিঃশব্দে তার চরে যাওয়া দেখলাম। আর অভিভূত হলাম এটা ভেবে যে সে আমার স্ত্রী্ আর এই মহিলাটির সমস্ত কিছুকে আজও আমি একই রকম ভাবে ভালোবাসি।”

প্রত্যেকটা দম্পতির কাছেই জ্যাসনের এই উপলব্ধি হয়ে উঠতে পারে একটি দৃষ্টান্ত। কর্মব্যস্ত জীবনে আমরা আমাদের সঙ্গীর দিকে দেখার সময় টুকুও পাই না। কিন্তু তাদের যদি একটু সময় দিই অথবা কোনো আগন্তুকের চোখে যদি আমরা দেখি তাহলেই আমরা আবার বুঝতে পারব কেন এই মানুষটির প্রেমে পড়েছিলাম। তাহলেই দাম্পত্য সমস্যা গুলি ছোটো হয় দেখা দেবে আর ভালোবাসা হয়ে উঠবে চীরন্তন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.