পারফিউম ব্যবহার করার আগে জেনে নিন এর আসল মানে ও ব্যবহার পদ্ধতি
সুগন্ধি বা পারফিউম কেনা একটা বিশাল বড় ঝক্কি। কারণ বেশিরভাগ সুগন্ধি উৎপাদন ক্ষেত্র ইউরোপিয়ান দেশ গুলি হওয়ায় তাদের ভাষা বোঝা আমাদের পক্ষে কিছুটা অসুবিধা জনক। তাই ভালো সুগন্ধি কেনার জন্য তাদের সঠিক ধরণ এবং মানে জানা খুবই দরকার। আমরা সাধারন ভাবে ভাবি যে এউ ডি টয়লেট/এউ ডি পারফিউম কোলন এগুলি ইন্টারচেঞ্জেবল শব্দ, কিন্তু আদতে এগুলির এক একটির নির্দিষ্ট মানে আছে। একটি সুগন্ধি তৈরি করতে মূলত তিনটি উপাদান লাগে সুগন্ধি তেল অ্যালকোহল এবং জল। সুগন্ধি তেল যতটা পরিমানে বেশি হয় গন্ধও তত চড়া হয়। একটি সুগন্ধি আপনার শরীরে কতক্ষণ স্থায়ী হবে তা নির্ভর করবে আপনি কিভাবে সেটি ব্যবহার করছেন তার উপর। এবার দেখে নিন বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধির মধ্যে পার্থক্য। যা আপনার জন্য কোনটি সঠিক সুগন্ধি তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করেবে।
পারফিউম- পারফিউমে থাকে ১৫-২৫% সুগন্ধি তেল। পারফিউম দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় ঠিকই কিন্তু হালকা গন্ধের হয়।
এউ ডি পারফিউম/ পারফিউম ডে টয়লেট- এটিই আমরা সাধারণত পারফিউম হিসাবে কিনে থাকি। এতে আছে ৮-১৫% সুগন্ধি তেল। কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য এটি একদম সঠিক নির্বাচন। কিন্তু গরম কালে এটি ব্যবহার না করাই উচিত।
এউ ডি টয়লেট- এতে ৪-১০% সুগন্ধি তেল থাকে। এবং খুবই হালকা গন্ধ যুক্ত। গরম আবহাওয়ায় রোজকার ব্যবহারের জন্য আদর্শ।
এই ডি কোলন- এই ডি কোলনে থাকে ২-৫% সুগন্ধি তেল। এর হালকা সাইট্রিক গন্ধ পুরুষদের জন্য খুবই আদর্শ। তবে মহিলারাও কোলন ব্যবহার করতে পারেন।
পোর হোম্মে/ পোর ফেম্মে- ফ্রেঞ্চ ভাষায় হোম্মে মানে পুরুষ এবং ফেম্মে মানে মহিলা। পোর হোম্মে পারফিউম সাধারণত পুরুষদের জন্য। এবং পোর ফেম্মে পারফিউম মহিলাদের জন্য।
অ্যান্টি পারস্পিরেন্ট স্প্রে/ রোল অনস- অ্যান্টি পারস্পিরেন্ট ডিওড্রেন্ট বা রোল অনে থাকে অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরায়িড সল্ট যা ঘাম শুষে নিয়ে ত্বকের ঘর্ম গ্রন্থির উপর এক ধরণের জেলে জাতীয় মাস্ক তৈরি করে, যা ঘাম কমায়।
ডিওড্রেন্ট- ডিওড্রেন্ট এবং অ্যান্টি পারস্পিরেন্ট স্প্রে দুটি সম্পূর্ণ আলাদা। ডিওড্রেন্ট পারফিউমের বিকল্প হিসাবে কাজ করে, যা দূর্গন্ধ হওয়া থেকে রোধ করে। আর অ্যান্টি পারস্পিরেন্ট স্প্রে ঘাম আটকায়, যা দূর্গন্ধ হওয়ার কারণ।