173130

রক্তচাপ কমাবার ওষুধেই বাড়ছে বিপদ

দ্রুত গতির এই জীবনে, বেতাল শরীর-স্বাস্থ্য। চড়চড়িয়ে চড়ছে ব্লাড প্রেসার। ওষুধপথ্যি দিয়ে তা সামলে, ফের শুরু দৌড়। কিন্তু নিত্যসঙ্গী খিটখিটে মেজাজ, কথায় কথায় রাগ। অনেকেরই জানা নেই, এর কারণ কিন্তু হতেই পারে রক্তচাপের ভুল চিকিত্‍সা। ওষুধেই লুকিয়ে অসুখের বীজ।
দৌড়চ্ছে জীবন। তাল মেলাতে, ঘাম ছুটে যাওয়ার জোগাড়। টেনশন, প্রেশার ঘরে-বাইরে। তা সামলে রোজ সকাল থেকে রাত, জীবন যুদ্ধ। ব্লাড প্রেশার এধার-ওধার, এখন একেবারেই কমন।কম-বেশি প্রায় সবাই এর শিকার। মুডের হেরফের। বাড়ছে ডিপ্রেশন। হতাশা-বিষণ্ণতা গ্রাস করছে জীবন।

কথায় কথায় রাগ। চিলচিত্‍কার বিনা কারণে। কিংবা হতাশায় ডুবে যাওয়া, মুখে কুলুপ। সবেতেই কিন্তু ঘোর বিপদ-সঙ্কেত। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অনুযায়ী, হাই ব্লাড প্রেশারের চিকিত্‍সায় সর্বাধিক ব্যবহৃত ৪টি ওষুধেই লুকিয়ে বিপদ। উদ্বেগজনক হারে হতাশা বৃদ্ধি, কিংবা বাইপোলার ডিসঅর্ডারের কারণ হতে পারে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ। শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি প্রায় সবারই চিন্তা-উদ্বেগের বিষয় হলেও, মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটি অনেকটাই অবহেলিত। ওষুধ দিয়ে হাই ব্লাড প্রেশারে রাশ টানার চেষ্টা করতে গিয়ে, ভেঙে পড়ছে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটি।

হাইপারটেনশনের শিকার প্রায় দেড় লক্ষ রোগীর ওপর সমীক্ষা চালানো হয়। এই রোগীদের ওষুধের তালিকায় ছিল অ্যাঞ্জিওটেনসিন অ্যান্টাগনিস্টস, বিটা ব্লকার, ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার কিংবা থিয়াজাইড ডায়ুরেটিকস। একইসঙ্গে নজর রাখা হয় এমন আরও লক্ষাধিক হাই বিপি-র শিকার রোগীর ওপর, যাঁদের লিস্টে ওই ৪টি ওষুধ ছিল না। প্রায় ৫ বছর কড়া নজরদারির পর উঠে আসে চাঞ্চল্যকর ছবি। এই সময়কালে যাঁরা ওই নির্দিষ্ট ৪টি ওষুধ নিচ্ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেককেই গভীর হতাশার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। বিটা ব্লকার এবং ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার দিয়ে যাঁদের চিকিত্‍সা চলছিল, তাঁদের মধ্যে ডিপ্রেশনে ভোগার প্রবণতা বেড়ে যায় প্রায় দ্বিগুণ হারে। ঘনঘন মেজাজ বদল, খিটখিটে ভাব ধরা পড়ে।এইসমস্ত রোগীদের মধ্যে তুলনামূলক কম প্রভাব থিয়াজাইড ডায়ুরেটিকস, অ্যাঞ্জিওটেনসিন অ্যান্টাগনিস্টস ওষুধের।শরীরের অসুখ সারানোর ওষুধে, মনের অসুখ গভীর হয়ে চেপে বসলে, বিষয়টি অবশ্যই চিন্তার। শুধু রোগীদের নয়, একথা ভাবাচ্ছে ডাক্তারদেরও।

সূত্র-২৪ ঘন্টা

পাঠকের মতামত

Comments are closed.