173114

মুক্তি আটকে গেল ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগের ছবি “ডুব”-এর

সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র টুকুই শুধু বাকি ছিল। এর আগেই ডুবে গেল “ডুব”। বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রণালয়ের বিশেষ চিঠির প্রেক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে গেল পরিচালক মোস্তাফা সরোয়ার ফারুকীর “ডুব” ছবির মুক্তি। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় যে ছবি তৈরি হয়েছিল। অভিনয়ে ছিলেন ইরফান খান এবং পার্নো মিত্র। রয়েছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী নুসরত ইমরোজ তিশা এবং রোকেয়া প্রাচী।

বাংলাদেশের জনপ্রীয় সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের জীবনী নিয়ে তৈরি হয়েছিল ডুব-এর চিত্রনাট্য। লেখকের প্রথম স্ত্রীয়ের সঙ্গে বিচ্ছেন। এবং মেহের আফরোজ শাওনকে বিয়ে এই সব নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক চলছিল। কিন্তু গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘ডুব’এর মুক্তির ব্যাপারে আপত্তি জানায় সেন্সর বোর্ড। ‘ডুব’এর ব্যান প্রসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ফোনে ফারুকী বলছিলেন, ‘‘এটা অফিশিয়াল ব্যান নয়। স্থগিতাদেশ। কতদিন স্থায়ী হবে, সেটা জানা নেই!’’

যৌথ প্রযোজনার ছবি তৈরির ক্ষেত্রে তিনটি ধাপ পার হতে হয় বাংলাদেশের পরিচালকদের। ছবির চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ হলে, সেটা রিভিউয়ের জন্য পাঠাতে হয় সেন্সর বোর্ডে। সেখান থেকে ছাড়পত্র পেলে তবেই শুরু করা যায় ছবির শ্যুটিং। শ্যুটিং শেষ হলে প্রিভিউ কমিটির কাছে পাঠাতে হয়। তাঁরা যদি ছাড়পত্র দেন, তবেই ছবিটিকে সেন্সর বোর্ডের কাছে চূড়ান্ত বিচারের জন্য পাঠানো যায়।

ফারুকী বলেছেন, “গত ১২ তারিখ প্রিভিউ কমিটির সদস্যরা ছবিটি দেখেছিলেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁরা ছাড়পত্র দিয়ে দেন। কিন্তু ১৬ তারিখ আমাকে তাঁরা বলেন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ চিঠির কারণে “ডুব”-এর বিষয়ে তাঁরা স্থগিতাদেশ দিচ্ছেন। তবে তাঁদের আপত্তিটা কিসের তা এখনও আমাকে জানানো হয়নি।

ছবি-মুক্তির ব্যাপারে আপনারা কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন? ফারুকীর উত্তর, ‘‘বাংলাদেশের সরকারের উপর আমার আস্থা রয়েছে। এই সরকার মানুষকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দেয়। আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজন হলে আদালতেও যাব।’’ ছবি-মুক্তির ব্যাপারে যে স্থগিতাদেশ, তা কি যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে? ফারুকীর কথায়, ‘‘যৌথ প্রযোজনায় যত ছবি নির্মিত হয়েছে, তার মধ্যে ‘ডুব’ই সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল ছবি। এই ছবিটা আটকে গেলে, যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণের আগ্রহে ভাটা পড়বে!’’
ছবির অন্যতম মুখ্য চরিত্র করেছেন পার্নো। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘কেন ছবিটা আটকে দেওয়া হল, তার কোনও কারণ বলা হয়নি। তাই কমেন্ট করা খুব মুশকিল! তবে এত বড় একটা প্রজেক্ট যখন, নিশ্চয়ই কোনও না কোনও সমাধান বার হবে।’’ ছবিটি কলকাতার ‘এসকে মুভিজ’ এবং বাংলাদেশের ‘জ্যাজ মাল্টিমিডিয়া’ যৌথভাবে প্রযোজনা করছে। এই প্রসঙ্গে ‘এসকে মুভিজ’এর কর্ণধার হিমাংশু ধানুকা বললেন, ‘‘ছবির উপর আস্থা রয়েছে। এই ব্যাপারে ফারুকীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আপাতত ছবিটা হোল্ড করছি। কিন্তু সারা বিশ্বে আমরা ছবিটা একই দিনে রিলিজ করব। লড়াই করতে প্রস্তুত।’’

পাঠকের মতামত

Comments are closed.