172672

হজম, রক্তাল্পতার সমস্যার সমাধান খেঁজুর গুড়

হজমের সমস্যা প্রায় মানুষেরই আছে। এই সমস্যায় রাতে ঘুম হয় না। অনেক ওষুধ খাওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনোটাতেই খুব একটা বেশি লাভ হয়নি। তাহলে এবার ওষুধ ছাড়ুন এবং খেঁজুর গুড় খান। সমস্যা হবে দূর।

শীতকাল মানেই খেঁজুরের রস। আর সেই রস জাল দিলেই আসতে থাকে খেঁজুর গুড়ের গন্ধ। নতুন গুড়। বাড়ি গুড় নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে একফোঁটা জিভে ফেলে দিলেই মন টা যেন খিদে পেয়ে ওঠে। তারপর শুরু হয়ে যায় গুড় নিয়ে টানাটানি। অত্যন্ত সুস্বাদু তো বটেই। আবার এই গুড়ই অনেব উপকারীও। সে পাটালি হোক বা ঝোলা গুড় সব কিছুই গুন অঢেল।

নিয়মিত খেজুর গুড় খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে। ফলে, দূষিত রক্তের কারণে যে সব রোগ হয়, সেগুলি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এতে প্রচুর পরমাণে রয়েছে আয়রন। যা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে। পুষ্টিকর বিভিন্ন উপাদান থাকে খেজুর গুড়ে। বিভিন্ন স্ত্রী রোগের সমস্যা দূর করে।

নিয়মিত খেজুর গুড় খেলে হজমের সমস্যা থাকে না। বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশার মতো রোগ থেকে মুক্তি। লিভারকে রাখে সুস্থ। খেজুর গুড়ে রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম ও সোডিয়াম। যা পেশিকে শক্তিশালী করে। অতিরিক্ত মেদ ঝরায়। ফলে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণ করে।

ত্বককে যদি রাখতে চান মসৃণ, বয়স যদি ধরে রাখতে চান, খেজুর গুড় খান। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। উপকারি ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ। ত্বককে করে আরও উজ্জ্বল। ফুসকুড়ি, ব্রনতে ভরে যাচ্ছে মুখ? খেজুর গুড় খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

১০ গ্রাম গুড় থেকে পাওয়া যায় ১৬ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম। প্রতিদিন শরীরে যে পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন হয়, তার ৪ শতাংশই আসে গুড় থেকে। স্নায়ুতন্ত্রের প্রক্রিয়া সচল রাখে। ফলে, নার্ভের নানা রোগ প্রতিরোধ করে।

হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগও প্রতিরোধ করে খেজুর গুড়। সাধারণ সর্দি-কাশিতেও অব্যর্থ ফল মেলে। ক্রনিক কাশি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় খেজুর গুড়। গাঁটে গাঁটে ব্যথা উধাও। দীর্ঘক্ষণ এনার্জি ধরে রাখে। নিয়মিত খেজুর গুড় খান। সব রোগ ভ্যানিশ।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.