172529

“উপকারি” মিষ্টির রসনা এবার স্বার্থক

সুস্বাস্থের চাবিকাঠি মিষ্টি। মাছ, মাংস সে যাই খান না কেন শেষ পাতে মিষ্টি চাই। উৎসবের ভোজ হোক বা রোজকার বাড়ির খাওয়া। শেষে একটু মিষ্টি না হলে চলে না। আবারে রেস্তরাঁতে গেলে শেষ পাতে একটু ডেসার্ট তো চাই। তবে আপনি কি সুগার ডায়েটের জাঁতাকলে পড়ে ডেসার্টিকে বাদ দিচ্ছেন? ভুল করছেন।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, প্রতিদিন শেষ পাতে একটু মিষ্টি খেলে কমবে ব্লাড প্রেশার। পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার রোগের সম্ভাবনা কমে। মিষ্টি খাবার শরীরের ভিতর অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে, হজম ভাল হয়। শেষ পাতে মিষ্টি খেলে শরীরে সেরিটোনিন নামের হরমোনের ক্ষরণ হয়। ফলে, সুখ ও আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়। শরীরের সার্বিক সুস্থতার জন্য যা জরুরি। ভারী খাবার খাওয়ার পর শরীরে ব্লাড প্রেশার অত্যন্ত কমে যায়। ফলে, কখনও কখনও অস্বস্তি তৈরি হয়। কিন্তু মিষ্টি খেলে শরীরে রক্তচাপের ভারসাম্য তৈরি হয়। ফলে, কোনও অসুস্থতা বা অস্বস্তির সম্ভাবনা থাকে না। ডার্ক চকোলেটের মতো বেশ কিছু ডেজার্টে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং কোকো। যা স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায়। ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।

বাড়িতেই তৈরি করা যেতে পারে নানারকম ডেজার্ট। স্বাস্থ্যরক্ষা তো বটেই, মিটবে মনের ইচ্ছাও। বাড়বে কাজ করার ইচ্ছে। অ্যাক্টিভ থাকা যাবে দীর্ঘক্ষণ। তাই শেষ পাতে মিষ্টি মাস্ট। তাই বলাই যায় মিষ্টি প্রীয়দের কাছে রসনা এবার স্বার্থক।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.