172394

আমেরিকা এবার বলছে , চাঁদে পা-ই রাখেননি নিল আর্মস্ট্রং

৪৮ বছর আগে কি গোটা বিশ্বকে ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ধাপ্পা’টা দিয়েছিল আমেরিকা? মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’ কি মানবসভ্যতাকে একেবারে বোকা বানাতেই ঘোষণা করেছিল নিল আর্মস্ট্রং, বাজ অলড্রিনরা চাঁদের মাটিতে নেমেছেন- ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই? সেই জুলাইয়ে কি আমাদের ‘এপ্রিল ফুল’ বানিয়েছিল নাসা? তা হলে কি ‘অ্যাপোলো-১১’ মহাকাশযানের দুই মহাকাশচারী আর্মস্ট্রং-অলড্রিনের ‘পদচিহ্ন’ আদৌ আঁকা হয়নি চাঁদের বুকে? ঘোষণার বেশ কয়েক দিন পর মানবসভ্যতার সেই ‘প্রথম চন্দ্র-বিজয়’-এর ভিডিওটা কি ছিল তা হলে একেবারেই ‘ডক্টরড’? বানানো? হলিউডের কোনও স্টুডিওয় শ্যুট করা হয়েছিল বিশ্ববাসীকে ‘ঠকানোর সেই শতাব্দী-সেরা চিত্রনাট্য’?

আর কেউ নন, কোনও ‘কনস্পিরেসি থিয়োরিস্ট’ (যাঁরা নাসার ওই অভিযানকে বিশ্বাসই করেন না) নন। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেছে নেওয়া তাঁর বিজ্ঞান-প্রযুক্তি উপদেষ্টা বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ডেভিড গেলার্নটারই সবার সামনে কথাটা বলে দিলেন, সোজাসাপটা। এই সে দিন, ২৪ জানুয়ারি। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের এই ডাকসাইটে অধ্যাপক গেলার্নটারের বক্তব্যকে তো আর হেলাফেলা করা যায় না! তিনি যে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা! তাঁর মতামতকে নতুন মার্কিন প্রশাসন বা আমেরিকার ঘোষণা বলে মান্যতা দিলে কেনই-বা মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে? অন্তত যখন ওই মন্তব্যের পর ‘আমি বলিনি’ বলে তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করেননি গেলার্নটারের মতো এক জন প্রথিতযশা অধ্যাপক। যে হোয়াইট হাউসকে আমরা অত্যন্ত ‘স্পর্শকাতর’ বলে জানি, অধ্যাপক গেলার্নটারের ওই শোরগোল ফেলে দেওয়া মন্তব্যের পর আমেরিকার সেই ‘সাদা বাড়ি’র মুখ ‘কালো’ হয়েছে বলে অন্তত প্রকাশ্যে তো কিছু জানা যায়নি!

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিজ্ঞান উপদেষ্টা কম্পিউটার বিজ্ঞানী ডেভিড গেলার্নটারের মন্তব্য)

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.