172273

ভিনগ্রহের প্রাণী ঘোরাফেরা করেছে ভারতের আকাশে , দাবি সিআইএ-র

আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউএফও- সত্যিই কি তাদের দেখা গিয়েছে কখনও? সত্যি-মিথ্যের বিচার করার মতো এখনও প্রামাণ্য নথি প্রকাশ করতে পারেনি কেউই।

হলিউড ছবির দেখলে মনে হতেই পারে, ভিনগ্রহের প্রাণীরা কেন যে শুধু নিই ইয়র্কে আসে। তবে, বলিউডও পিছিয়ে নেই। অনেক বছর অপেক্ষার পর ভারতের এক পাহাড়ি শহরে অবতীর্ণ হয় ‘জাদু’র স্পেসশিপ।

রিল লাইফ ছেড়ে বাস্তবের নথি ঘেঁটে দেখাগিয়েছে যে, ইউএফও দেখা গিয়েছিল ভারতের আকাশেও। সম্প্রতি, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র তরফ থেকে প্রকাশিত এক নথি অনুযায়ী, ১৯৫০ ও ১৯৬০ দশকে ভারত, ভুটান ও নেপালের আকাশে নাকি ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল ভিনগ্রহের মহাকাশযান।

সিআইএ-র ৯ লক্ষ ৩০ হাজার ফাইলের মধ্যে থেকে ইউএফও সংক্রান্ত বেশ কিছু ফাইল জনসমক্ষে আসার ফলে এই তথ্য জানা গেছে। সেখানেই বলা হয়েছে,

১৯৬৮ সালের ২৫ মার্চ, নেপালের কাসকিতে দেখা গিয়েছিল একটি জ্বলন্ত বস্তু। একই ভাবে, ভারতের লাদাখেও দেখা গিয়েছিল এমনই এক ঝলমলে বস্তু। নীলচে আভা ছড়ানো ইউএফও দেখা গিয়েছিল ভুটানের রাজধানী শহরের আকাশেও।

যাঁরা এই ইউএফও-গুলো দেখেছিলেন বলে দাবি করেন, তাঁদের মতে, অনেক সময়ে আকাশে ওড়ার আগে বিশাল শব্দ করেছিল সেগুলো।

৬০এর দশকের পরে, ২০১২ ও ২০১৩ সালে, পর্যায়ক্রমে ইন্দো-চিন বর্ডার ও লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল-এর উপরেও দেখা গিয়েছিল। ভারতীয় সেনাদের মতে, প্রায় ১০০টি ইউএফও দেখা গিয়েছিল ওই সময়ে। এক সময়ে ভাবা হয়েছিল যে, প্রতিবেশী দেশ চিন হয়তো ড্রোন পাঠিয়েছিল। কিন্তু, তত্‍কালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি সে ভস্মেও ঘি ঢেলে দেন।

তা হলে কী ছিল ওই বস্তুগুলো?

বৈজ্ঞানিকদের মতে, লাদাখের অবস্থানের কারণে, সেখান থেকে অন্যান্য গ্রহ, যেমন বৃহস্পতি ও বুধ, খুবই স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়। খালি চোখে সেগুলোই ইউএফও বলে ভুল করাটাই স্বাভাবিক।

তা হলে সিআইএ যে নথি দাখিল করল, তার ভিত্তি কী?

এবেলা.ইন

পাঠকের মতামত

Comments are closed.