বুধকে গিলে খেতে বসেছে সূর্য
নিজের প্রায় অন্তিম অবস্থায় চলে গেছে সূর্যের সবথেকে কাছের গ্রহ বুধের। পৃথিবীর কোনো অসুবিধা নেই। সে এখনও যৌবন অবস্থাতে আছে। কিন্তু ভালো নেই আমাদের সাধের পৃথিবীর পাশের গ্রহ গুলি। বয়স যত বাড়ছে কমছে শরীরের জোর। একটি শিশুর শরীরে রক্ত যতটা গরম থাকে ততটা থাকে না বৃদ্ধের শরীরে। সেই অবস্থা এখন বুধের।
তার অন্তরের যে গনগনে আঁচ, তা খুব দ্রুত কমে যাচ্ছে। বুধের ভিতরটা উত্তরোত্তর ঠান্ডা মেরে যাচ্ছে। ফলে, পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ সবদিকেই ছোট হয়ে যাচ্ছে বুধ। তার পিঠে তৈরি হয়েছে এক বিরাট উপত্যকা। যাকে বলা হচ্ছে গ্রেট ভ্যালি। যেটি আমেরিকার অ্যারিজোনায় গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের চেয়েও বড়। গভীরতায় বুধের সেই উপত্যকাটি পূর্ব আফ্রিকার গ্রেট রিফ্ট ভ্যালির চেয়েও বেশি। এটি লম্বায় ৬২০ মাইল (১০০০ কিলোমিটার), চওড়ায় ২৫০ মাইল (৪০০ কিলোমিটার) এবং গভীরতায় ২ মাইল (৩.২ কিলোমিটার)
অনেক আগেই নাসার মেরিনার-টেন মহাকাশযান বুধের পাশ দিয়ে ছুটতে ছুটতে জানিয়েছিল, চেহারায় খাটো হয়ে যাচ্ছে বুধ। কতটা?
৪৬০ কোটি বছর আগে বুধের জন্মের পর গ্রহটি চেহারায় খাটো হয়েছে ১.২ থেকে ২.৫ মাইল বা দুই থেকে চার কিলোমিটার।
হালে বুধের পাশ দিয়ে ঘুরে এসেছে আরেকটি মহাকাশযান মেসেঞ্জার। তার দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, বুধ চেহারায় খাটো হয়েছে প্রায় ৮.৭ মাইল বা ১৪ কিলোমিটার।
একদিন হতেই পারে, বুধ খাটো হতে হতে চেহারায় এত ছোট হয়ে যাবে যে, সূর্যটা তাকে গিলেই খেয়ে নিতে পারে। তখন পৃথিবীর ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না তো? হিসাব কষতে ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা।