গর্ভনিরোধক পিলের ব্যবহার এবং মেয়েলী সমস্যা সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর

চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে নারীর একান্ত সমস্যাগুলো এখন সমাধানযোগ্য। মেয়েলী সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসা আমাদের দেশে এখনো লজ্জার বিষয় হিসবে গণ্য করা হয়। বলা বাহুল্য যে সুশিক্ষার অভাবেই মানুষের মনে এমন ধারণার সৃষ্টি হয়। অসুস্থতা একান্ত গোপনীয় হলেও সেটা অসুস্থতা। সমস্যা বড় আকার ধারণ করার আগে তার প্রতিকার করা জরুরী। দেখে নিন দুটি সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ। নিজের এমন সমস্যা থাকলে দেরী না করে ডাক্তার দেখান। পরামর্শ দিয়েছেন কনসালটেন্ট গাইনকোলজিস্ট ডা. রঞ্জিত্ চক্রবর্তী।

প্রশ্ন: আমার বয়স ২১ বছর১৬ বছর বয়েসে পিরিয়ড হয়আমার পিরিয়ড খুব অনিয়মিতপ্রতি মাসেই নির্দিষ্ট দিনের সাত আট দিন পরে পিরিয়ড হয়এমনকী, দু’ মাসের গ্যাপও হয়ে যায়আমার প্রথম থেকেই এই সমস্যা রয়েছেএটা কি কোনও অসুখের লক্ষণ?

উত্তর: এই ঘরনের সমস্যা একবারেই নেগলেট করা উচিত নয়। আপনার সিমটম শুনে মনে হচ্ছে পসিসিস্টিক ওভারি হয়ে থাকতে পারে। তাই আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলট্রা সোনোগ্রাফি, হরমোন প্রোফাইল পরীক্ষা করিয়ে নিন এবং কোনও গাইনিকলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করুন। প্রয়োজনে আপনাকে লাইফস্টাইল চেঞ্জের উপর জোর দিতে হতে পারে।

প্রশ্ন: আমার বয়স ৩২ বছরদু’বছর আগে বিয়ে হয়েছেআগামী দু’বছর মা হওয়ার কথা ভাবছি নাআমি নিয়মিত কন্ট্রাসেপটিভ পিল খাইএই ধরনের পিল রেগুলার খেলে কি সন্তানধারণে সমস্যা হতে পারে?

উত্তর: প্রথমত আপনাকে নিয়মিত চেক আপের মধ্যে থাকতে হবে। আপনি একবার আলট্রা সাউন্ড, হরমোন প্রোফাইল, লিভার ফাংশন টেস্ট করিয়ে নিন এবং ডাক্তারের সঙ্গে কনসাল্ট করুন। উনি আপনার রিপোর্ট দেখে বলে দিতে পারবেন পিল কন্টিনিউ করা উচিত হবে কি না।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.