খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনেই ২৫ বছরের মাইগ্রেনের ব্যথা উধাও!

দুই সন্তানের জননী আন্দ্রিয়া হেনসন। ৪৬ বছর বয়সী এই নারী জীবনের অর্ধেকটা সময়ই কাটিয়েছেন মাইগ্রেনের সমস্যা নিয়ে। হঠাৎ করেই এতদিন পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেন কেবলমাত্র কিছু খাবার বাদ দিয়েই!

সব সময়ই তিনি হালকা ও মাঝারি মাইগ্রেনের ব্যথায় ভুগেছেন। একবার অবস্থা চরম হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এটা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা, জানান আন্দ্রিয়া। লাম্বার পাঙ্কচারসহ সিটি স্ক্যান ও অন্যান্য পরীক্ষা করেছিলেন তখন। মাইগ্রেন যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা তিনিই জানেন।

বলেন, আমারা অবস্থা সব সময়ই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। কথন কি হতো তার কিছুই বলা যায় না। একবার ব্যথা শুরু হলে ১-৩ দিন স্থায়ী হতো। যে সব ওষুধ খেতেন তাও ছিল মারাত্মক শক্তিশালী। কাজেই তা খুব বেশি খাওয়া যেত না।

মাইগ্রেনের ব্যথা মোটামুটি নিয়মিত ছিল তার। এমন হলেই তারা বিশেষ চিকিৎসা নিলেন। মাইগ্রেনের ওষুধ খেয়ে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আন্দ্রিয়ারেরও তেমনই হতো।

তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়া বা অভিজ্ঞজনদের পরামর্শে তিনি  খাবার নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন। তাকে বলা হয় ইয়র্কটেস্ট বিষয়ে আগ্রহী হতে। তার এক বন্ধু তাকে ইয়র্কটেস্ট করতে বলেন। আন্দ্রিয়া চিন্তা করেন, খাদ্য বিষয়ে সাবধান হলে হয়তো এই স্পর্শকাতর সমস্যা নিয়ে কোনো সমাধান আসতে পারে।

তার স্বামী অ্যান্ড্রু জানান, তার গম, দুধ এবং ব্রাজিল নাট খেলে খুব সমস্যা হয়ে যায়। নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। একই সমস্যা দেখা দেয় ম্যাককিনা এবং কার্টার নামের দুই সন্তানের ক্ষেত্রে।

পরে আন্দ্রিয়া সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি পরিবারে যে সদস্যের যেসব খাবারে সমস্যা তার সবগুলোই তিনি খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেবেন। তবে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পর তাদের বমিভাবসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

যেদিন থেকে নতুন খাদ্যাভ্যাস শুরু করলাম, তখন থেকেই মাইগ্রেনের ব্যথা সপ্তাহে তিন বার করে হতো। পরের ছয় মাসের মধ্যে আরো কমে আসলো। আমি অবাক হতে থাকলাম, জানালেন আন্দ্রিয়া।

একটা সময় বুঝতে পারলাম, আমার মাইগ্রেনের ওষুধগুলো ফেলে দেওয়ার সময় হয়েছে। মাইগ্রেনের সমস্যা হয়তো ভালো হয়ে গেছে আমার। অথচ একটা সময় এগুলো জীবনের সব সময়ের সমস্যা হয়ে ছিল।

কেবলমাত্র খাবার বদলে ফেলার কারণে ২৫ বছরের মাইগ্রেনের সমস্যা চলে গেল। বিষয়টি অন্যদেরও ভাবা উচিত। সূত্র : ডেইলি মেইল

পাঠকের মতামত

Comments are closed.