গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন
গ্যাসের সমস্যা আমাদের দেশে এখন কমন একটি সমস্যা হয়ে গেছে। খাওয়ার অনিয়ম এবং খাদ্যে ভেজালের কারণে সকাল বিকাল পেট ভার ভার, বদহজম, গ্যাসের সমস্যা, চোঁয়া ঢেকুর রোজকার রুটিনে পরিণত হয়েছে যেন। কিন্তু, অনেক সময়ই হজমের সমস্যা হওয়ার পরেও অজ্ঞতার কারণে আমরা অনেক খাবার খেয়ে ফেলি, যা বদহজমের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এমন কিছু খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের মেডিক্যাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের কিডনি ডিপার্টমেন্টের অ্যাসোসিয়েট ডায়টেসিয়ান দেবস্মিতা ঘোষ।
০১. বিনস: বিনস এক ধরনের লিগিউম জাতীয় খাবার। এতে উচ্চ মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে। থাকে ভিটামিন আর খনিজ পদার্থও। বেশির ভাগ বিনসেই থাকে আলফা-গ্যালাকটোসাইড নামের এক ধরনের সুগার। যা অন্ত্রের মধ্যে গিয়ে ফারমেন্ট করে, ফলে পেট ফাঁপা এবং গ্যাসের মতো সমস্যা হয়। হতে পারে ডায়রিয়াও।
০২. ডাল জাতীয় শস্য: ডালও এক ধরনের লিগিউম জাতীয় খাবার। ফলে বিনের মতো ডালেও একই ধরনের উপাদান থাকে। থাকে আলফা-গ্যালাকটোসাইড থাকে। যা অনেক সময় গ্যাসের সমস্যা তৈরি করে। তাই খাওয়ার আগে অনেক ক্ষণ ধরে ডাল জাতীয় শস্য জল ভিজিয়ে রাখা উচিত। তবে প্রধানত রাজমা ও মুগ জাতীয় ডালই পেটের সমস্যা তৈরি করে।
০৩. কার্বোনেট ড্রিঙ্ক: রঙিন পানীয়তে বেশির ভাগ সময়ই কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকে। এই গ্যাস পেটে গিয়ে পেট ফাঁপিয়ে দেয়।
০৪. আপেল: আপেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার এবং ফ্রুকটোজ থাকে। অনেক সময় এই ফ্রুকটোজ ও ফাইবার পেটে দিয়ে ফারমেন্ট করে। ফলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়।
০৫. ময়দা: ময়দায় প্রচুর গ্লুটেন থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে এই গ্লুটেন থেকে মারাত্মক হজমের সমস্যা, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা তৈরি হয়।
০৬. পেঁয়াজ: পেঁয়াজের ফ্রুকট্যান্স থেকে অনেক সময় হজমের সমস্যা হয়।
০৭. দুগ্ধজাত পদার্থ: দুগ্ধজাত পদার্থে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম থাকে। থাকে ল্যাকটোজও। অনেকেই ল্যাকটোজ সহ্য করতে পারেন না। তাদের ক্ষেত্রে দুগ্ধজাত যে কোনও পদার্থ থেকেই মারাত্মক ডায়রিয়া, বদহজম বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
০৮. প্রসেসড ফুড: বাজারে চলতি যে কোনও প্রসেসড ফুডে ফ্রুকটোজ এবং ল্যাকটোজ থাকে। এই দু’টি জিনিস একসঙ্গে থাকলে অনেক সময় হজমের সমস্যা হয়। ফলে গ্যাস তৈরি হতে পারে।
-আনন্দবাজার