নামি ব্র্যান্ডের দামি হাতঘড়ি কেনার আগে জেনে নিন

নামি ব্র্যান্ডের দামি হাতঘড়ি কেনার কাজটি বেশ জটিল। মানানসই সঠিক ঘড়িটি খুঁজে নেওয়াটা আরো কঠিন হয়ে ওঠে। আবার ক্রেতাদের দামাদামির বিষয়টি শেষ পর্যন্ত মনঃপুত হয়ে ওঠে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভালো বাজেট নিয়েও অখ্যাত ব্র্যান্ডের বা রেপ্লিকা ঘড়ি কিনে বাড়ি ফিরেছেন। এখানে বিশেষজ্ঞরা দামি ঘড়ি কেনার সময় ৫ বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন। এগুলো দেখে নিন।

১. এমন বিক্রেতার কাছ থেকে ঘড়ি কিনবেন যার লেনদেন স্বচ্ছ। ব্র্যান্ডের অনেক অনুমোদিত বিক্রেতাও নকল ঘড়ি বিক্রি করেন। কাজেই আপনাকে সাবধান থাকতেই হচ্ছে। নয়তো মারাত্মক ঝামেলায় পড়ে যাবেন। আসল ব্র্যান্ডের ঘড়ি কেনার সময় যথেষ্ট কাগজ-পত্রের কাজ সারতে হয়। যদি ঘড়ি কেনার সময় আপনার এ ধরনের কাগজপত্রের তেমন কাজ না থাকে, তবে বিপদে পড়তে পারেন।

২. ঘড়ি সম্পর্কে বিক্রেতার জ্ঞান যাচাই করুন। দামি ব্র্যান্ডগুলো যাদের মাধ্যমে ঘড়ি বিক্রি করে, তারা এ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন। যে ঘড়িটি তারা আপনার হাতে তুলে দিতে চান, তার সম্পর্কে দেখবেন অনেক বিক্রেতাই প্রায় কিছুই জানেন না। ঘড়ি তৈরির স্থান, এর যান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করুন। আপনি যা জানতে চাইছেন যদি তার মনঃপুত জবাব পেয়ে যান, তবে তুষ্ট থাকতে পারেন। আসল  ব্র্যান্ডের ঘড়ি বিক্রেতা আপনাকে বিস্তর জ্ঞান প্রদান করতে পারেন।

৩. অনেক পয়সার বিনিময়ে যে ঘড়িটি তারা দিচ্ছে, তার জন্যে বিক্রেতা সেবা দিতে প্রস্তুত। অর্থাৎ, তাদের কাস্টমার সার্ভিস সম্পর্কে জেনে নিন। বিলাসি ঘড়ি নির্মাতারা ক্রেতার সার্বিক সেবা দিয়ে থাকে। তাই ঘড়ি কেনার আগেই তাদের সেবার মান ও পদ্ধতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর করুন।

৪. ডিসকাউন্টের একটি বিষয় থেকেই যায়। কেউ-ই ডিসকাউন্ট নিতে অপছন্দ করবেন না। প্রতিটি বিলাসী ঘড়ি নির্মাতা বিশেষ শ্রেণির ক্রেতাদের জন্যে নগদ ছাড়ের ব্যবস্থা রাখে। সর্বোচ্চ ডিসকাউন্ট মিললে তাকে আপনি সেরা লেনদেন বলতে পারেন। তবে আসল ঘড়িগুলোতে ডিসকাউন্টের একটা নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। অতিরিক্ত ছাড় মিললে তা সন্দেহের কারণ বলে ধরে নিতে পারেন। এটি হয় ভুয়া কিংবা পুরনো ঘড়ি পুনরায় পরিষ্কার করে বিক্রি করা হচ্ছে। তাই খুব বেশি ডিসকাউন্টে ঘড়ি কিনে বিপদে পড়তে যাবেন না। দামি ঘড়ির পেছনে বেশি খরচ হবেই। তাই খুব বেশি খরচ বাঁচানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন।

৫. ইন্স্যুরেন্স এবং ভ্যালু-অ্যাডেড সার্ভিসেস : একবার দামি কিছুটা পয়সা ঢাললে আপনি চাইবেন এর নিরাপত্তা। এটা চুরি বা নষ্ট হলে তা যেন আবারো ফেরত পান, তার ব্যবস্থা আগেই করে রাখুন। দামি ঘড়ির ইন্সুরেন্স থাকলে তা কেবল বছরের পর বছর নয়, প্রজন্মের পর প্রজন্ম আপনার বংশধরদের কাছে থেকে যাবে। লয়ালটি প্রোগ্রামের মতো ভ্যালু-অ্যাডেড সার্ভিস গ্রহণ করুন। এতে নিশ্চিত থাকতে পারবেন যে, ঘড়িটি আসল ব্র্যান্ড বিক্রেতার কাছ থেকেই কিনেছেন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

পাঠকের মতামত

Comments are closed.