কিভাবে করবেন চোখের যত্ন জেনে রাখুন

লাইফস্টাইল ট্যাংক :
আলোতে পড়া
অনেকেরই কম আলোতে বই পড়া অভ্যাস রয়েছে, যা চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনোভাবেই কম আলোয় বই পড়া যাবে না। শুধু বইয়ের ওপর উজ্জ্বল আলো থাকলেই হবে না, বইয়ের আশপাশের কিছু এলাকা ও পড়ার টেবিলে যথেষ্ট পরিমাণে আলো থাকা উচিত।
eye-care-image-of-womens-eyesচোখের পলক ফেলা
দীর্ঘক্ষণ বই পড়লে কিংবা টিভি বা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের পলক ফেলার হার কমে যায়, যা চোখের জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের পরিস্থিতিতে কিছুক্ষণ পর পর চোখের পলক ফেলা অভ্যাস করা উচিত।
কম্পিউটার ব্যবহারে
কম্পিউটার ব্যবহারের সময় কম্পিউটারের মনিটর এমনভাবে স্থাপন করা উচিত যেন তা চোখের জন্য আরামদায়ক হয়। সরাসরি চোখের লেভেলে কম্পিউটার মনিটর সেট করা স্বস্তিকর নয়। এক্ষেত্রে মনিটর বসাতে হবে কিছুটা নিচে। যেমন মনিটরের শীর্ষস্থান যেন চোখের তুলনায় উঁচু না হয় সেজন্য মনোযোগী হতে হবে। মনিটরের উজ্জ্বলতা হতে হবে আপনার আশপাশের আলোর সমান। রাতের তুলনায় খুব সকালে পড়াশোনা করা চোখের জন্য ভালো। মনিটর ব্যবহারে প্রতি ৪০ মিনিট পর পর পাঁচ মিনিটের বিরতি নেওয়া উচিত।
ধূমপান বর্জন
এ বিষয়টি অনেকেরই জানা নেই যে, ধূমপানের ফলে চোখের ক্ষতি হয়। ধূমপায়ীর ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায় এবং দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া ধূমপানের পাশাপাশি অ্যালকোহল গ্রহণ করা হলে তাতে অপটিক নার্ভ ডিসঅর্ডার হতে পারে।
ডায়াবেটিস হলে
ডায়াবেটিস রোগীদের চোখের জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। সঠিকভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে তা রেটিনার মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। পরবর্তীতে এ জটিলতার কারণে দৃষ্টিশক্তি নষ্টও হতে পারে। এ ঝুঁকি কমাতে ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতি চার মাস পর পর চোখ পরীক্ষা করা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার
চোখের জন্য ভিটামিন এ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনার খাদ্যতালিকায় যেন চোখের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন থাকে সেজন্য মনোযোগী হোন। এক্ষেত্রে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.