বর্ষায় চুলের যত্ন
বর্ষায় সবাই হাফ ছেড়ে বাঁচে৷ অনেকদিন প্রচন্ড গরমের পর বর্ষা আসাতে স্বভাবতই খুশি মনে থাকে সকলে৷ কিন্তু চুলের হাল একদমই ভালো থাকে না৷ এইসময়ই সবচেয়ে বেশি চুল ওঠে ও চুলে বিভিন্নরকম সমস্যা দেখা দেয় যেমন চুল পরা,খুসকি,স্ক্যাল্পে ঘামাচি ইত্যাদি৷ তাই এইসব সমস্যা থেকে বাঁচার উপায়ও জানতে হবে আপনাদের৷ কাজে ব্যস্ততার জন্য অনেকেই পার্লারে যাওয়ারও সময় পাননা৷ রইল কিছু টিপস:
বৃষ্টিতে চুল ভিজে গেলে চুল অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে নেওয়া উচিত। নয়তো বৃষ্টির জল মাথায় বসে যেমন ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার ভয় থাকে, তেমনি চুলে জট পাকিয়ে যায়। অনেকেই মনে করেন বৃষ্টির দিনের স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় প্রতিদিন চুল ভেজানোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই সময়েই আসলে রোজ চুল ধোওয়া উচিত। কারণ স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় চুলের গোড়া ভিজে যায়। ফলে ভেজা চুলের গোড়ায় ফাংগাস হওয়ার ব্যাপক আশঙ্কা থাকে।
বর্ষাকালে যেহেতু আবহাওয়া গুমোট থাকে। তাই প্রচুর গরম হওয়ার কারণে চুলের গোড়া ঘেমে যায়। এই ঘাম থেকে খুশকি ও চুল পড়তে থাকে। ঘামে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। তাই কোনোভাবেই চুলের গোড়া ভেজা রাখা যাবে না। মনে রাখতে হবে চুলের গোড়া শুকনো থাকলে কোনো সমস্যাই থাকবে না। চুলের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিতে হবে।
চুলকে ভালো রাখতে আপনারা ঘরোয়া উপায়ও অবলম্বন করতে পারেন৷
১. তিনটি পাকা কলা ও এক টেবিল চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে মাথায় ৫০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এতে চুলের রুক্ষতা কমে যায় ও চকচকে হয়ে ওঠে।
২. দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও এক টেবিল চামচ মধু একটি জায়গায় নিয়ে হালকা গরম করে নেবেন। এরপর ওই তেল চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিতে হবে, খেয়াল রাখবেন স্ক্যাল্পে যেন না লাগে৷ কারণ এরফলে বর্ষাকালে চুল বেশি অয়েলি হয়ে যেতে পারে। ১৫-২০ মিনিট রাখার পর চুল ভাল করে শ্যাম্পু করে নেবেন।
৩) বর্ষাকালে অনেক সময় স্ক্যাল্প খুব অয়েলি হয়ে যায়। এর সমাধানের জন্য একটা পাতিলেবুর রস স্ক্যাল্পে ভাল করে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে নেবেন।
৪) মেথি চুলের জন্য খুব উপকারী। সারারাত একটা পাত্রে মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে জলটা ছেকে নেবেন। এরপর ছেকে নেওয়া জলটা আলাদা করে রাখবেন। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধোওয়ার পর সবশেষে ওই মেথি ভেজানো জল দিয়ে চুল ধুয়ে নেবেন। এরফলে চুল পড়া কমে, খুসকি দূর হয় এবং চুলের উজ্জ্বলতাও বাড়ে।
৫. গাঁদা ফুল চুলের জন্য অনেক উপকারি। একটি বড় বাটিতে কুসুম গরম জলে তাজা গাঁদা ফুল ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সেই জল থেকে ফুলগুলো উঠিয়ে জলটি একঘণ্টা আলাদা করে রাখতে হবে। শ্যাম্পু করার পর এই দিয়ে চুল ধুলে তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
৬. চুল ধোওয়ার আগে পাকা আমের সঙ্গে পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে।
৭. টক দইয়ের সঙ্গে একটি পাতি লেবুর রস ও নিম পাতার রস মিশিয়ে মাথায় লাগান। মিনিট ৪০ পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার করতে পারেন।
৮.. ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে অর্ধেক পাতি লেবুর রস, নিম পাতার রস ও আদার রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। আধঘন্টা পর হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।